বৃহস্পতিবার স্বামী বিবেকানন্দর জন্মতিথিতে সিমলা স্ট্রিটে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে তৃণমূলকে খোঁচা দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, ‘রাজ্যের শিক্ষার হাল দেখে স্বামীজি বাংলা থেকে প্রস্থান করতেন। অন্য কোনও রাজ্য বা দেশে গিয়ে আশ্রয় নিতেন।’ এ নিয়েই তৈরি হয়েছে তীব্র বিতর্ক।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘উনি যেখানে গিয়ে আজকে মালা দিলেন, সেই জায়গাটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারই অধিগ্রহণ করে সাজিয়ে দিয়েছে। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৃতিত্ব, ওঁর মনে রাখা উচিত। আর ওঁদের তো নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের ছবির পায়ের তলায় বিবেকানন্দের ছবি দেখা গিয়েছিল! তাই মনে রাখা দরকার, আপনি আচরি ধর্ম, পরেরে শিখাও।’ তাঁর দাবি, স্বামী বিবেকানন্দের ছবিতে মালা দিতে এসেও রাজনীতি করছেন শুভেন্দু অধিকারী! তিনি কতটা মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন এটা তারই বহিঃপ্রকাশ।
অন্যদিকে, সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘স্বামী বিবেকানন্দ মুক্তচিন্তা, স্বাধীন চিন্তার যুক্তিবাদী মানুষ ছিলেন। সুতরাং তাঁকে কাপুরুষ বানানোটা ঠিক নয়।’ কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যের মতে, ‘স্বামীজি সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করার আগে দুবার-তিনবার ভাবার প্রয়োজন আছে। কারণ স্বামীজি বাংলায় শিক্ষার প্রসারের জন্য অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন। প্রাণপণ লড়াই করেছিলেন। ভগিনী নিবেদিতাকে কাজে লাগিয়েছিলেন। সুতরাং তিনি বাংলা ছেড়ে চলে যাবেন, এটা তো হতেই পারে না। বরং বাংলায় থেকে তিনি লড়াই করতেন। তাই তাঁর সম্পর্কে মন্তব্য করার আগে ভাবার প্রয়োজন আছে।’