চলতি বছরেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর তার আগে জনসংযোগে বিশেষ জোর দিতে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। এলাকার বাসিন্দাদের সমস্যার কথা জানতে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছেন ‘দিদির দূত’রা। এবার যেমন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে গ্রামে গিয়ে রাত্রিবাস করলেন ‘দিদির দূত’ কুণাল। বুধবার দিনভর কর্মসূচির পর পাঁশকুড়ার মঙ্গলদাঁড়িতে স্থানীয় বাসিন্দার বাড়িতে রাত্রিবাস করেন তিনি। পাঁশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি হানিফ মহম্মদ রান্না করা খাবার খেয়ে সারেন নৈশভোজ। বৃহস্পতিবার সকালেও একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর।
বুধবার পাঁশকুড়ার গোবিন্দনগর অঞ্চলের মহাপুর, বিজাহারপুর, রাজনগর স্কুল, গোবিন্দ নগরে যান তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। রাতে পাঁশকুড়ার মঙ্গলদাঁড়ির বাসিন্দা সুদর্শন মান্নার বাড়িতে রাত্রিবাস করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। সেখানেই দফায় দফায় দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক সারেন কুণাল। রাতে সুদর্শন মান্নার বাড়িতেই সারেন নৈশভোজ। মেনুতে ছিল রুটি, তরকা এবং মাংস। মাংস রান্না করেন পাঁশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি হানিফ মহম্মদ। দলীয় কর্মীর হাতের রান্না করা খাবার খেয়ে আপ্লুত তৃণমূল মুখপাত্র।
এরপর বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা নাগাদ মঙ্গলদাঁড়ি বাজার এলাকার হনুমান মন্দিরে যান কুণাল। সেখানে পুজো দিয়ে স্থানীয় দলীয় কার্যালয়েও যান তিনি। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মতিথিতে যুগনায়ককে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন কুণাল। বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভেদাভেদের অভিযোগ তুলে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিজেপি যে হিন্দুত্ব করছে সেটা রামকৃষ্ণদেব, স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দুত্ব নয়। ওটা ভেজাল, মেকি হিন্দুত্ব। হিন্দুত্ব একথা শেখায় না যে সমাজে ধর্মের নামে ভেদাভেদ করতে হবে। স্বামীজির জন্মতিথিতে একদিকে উন্নয়ন আর অন্যদিকে স্বামীজির চোখ দিয়ে সমাজকে দেখে মানুষকে সেবা দেবে। মুখ্যমন্ত্রীও বিবেকানন্দের আদর্শে বিশ্বাসী। মানবসেবার কথা মাথায় রেখে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।’