বাংলায় প্রথমবার ক্ষমতায় এসেই স্বাস্থ্য, শিক্ষার মতো শিল্পের দিকেও বাড়তি নজর দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষির পাশাপাশি শিল্পায়নও যে পাখির চোখ, তাঁর সরকারের আগের দু’দফায় তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। যার ফলে বাংলাই এখন বিনিয়োগকারীদের অন্যতম গন্তব্য হয়ে উঠেছে। এবার শিল্প-বাণিজ্যে বিনিয়োগকারীদের জন্য সুখবর! শিল্প-বাণিজ্যে ব্যবহারে লিজে দেওয়া সরকারি জমিতে ‘ফ্রি হোল্ড’ বা নিঃশর্ত মালিকানা দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন মমতা। এবার তাকে আইনি রূপ দিতে বিধানসভায় ১৯৫৫ সালের ভূমি আইন সংশোধনী প্রস্তাব আনা হবে। বুধবার এই সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা।
সূত্রের খবর, বিধানসভার আসন্ন বাজেট অধিবেশনে এই সংশোধনী বিল পেশ করা হবে। এই সংশোধনী আইনে রূপান্তরিত হলে রাজ্যে রাজস্ব বাড়বে বলে মনে করছে নবান্ন। কারণ, ‘ফ্রি হোল্ড’ নিতে হলে বাজার দরে জমির দাম মেটাতে হবে। তারপরে জমির মালিক ইচ্ছেমতো তা ব্যবহার করতে পারবেন। প্রসঙ্গত, শিল্পের জন্য লিজ নেওয়া জমি অন্য কাজে ব্যবহার করতে হলে রাজ্য সরকারের অনুমতি লাগে। সে ক্ষেত্রে, অনেক সময় প্রশাসনিক জটিলতা তৈরি হয়। অনেক সময় ১ টাকা দিয়ে বর্ষিক সামান্য ভাড়ায় শর্তসাপেক্ষে সরকারের কাছ থেকে জমি লিজ নেওয়া যায়। এই সংশোধনীতে তিরিশ বছরের বদলে জমির ন্যূনতম লিজের মেয়াদ শর্তসাপেক্ষে ৯৯ বছর করার কথাও বলা রয়েছে। এর ফলে, চা বাগানগুলির জমির নিঃশর্ত মালিকানা পাওয়া সহজ হবে। তখন লোকসানে চলা চা বাগানে পর্যটন বা অন্য কোনও বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা সহজ হবে।
