পঞ্চায়েতের প্রার্থী নিয়ে আগে থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস তার অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে। ইতিমধ্যেই একাধিক সভায় বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতাদের দিকেই তারা এগোবে। একই সঙ্গে বুথ স্তরে তাঁর কাজের পারফরম্যান্স এবং কতটা গ্রহণযোগ্য মানুষের কাছে সেটাও দেখে নেওয়া হবে। খোদ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও বারবার বলেছেন, যাদের গ্রহণযোগ্যতা আছে মানুষের কাছে তাদেরকেই পঞ্চায়েতে প্রার্থী করা হবে। সেই মতই বাছাইয়ের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে তিন জনের নাম চেয়ে পাঠিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রার্থী হবেন একজন। নাম নেওয়া হচ্ছে তিনজনের। সূত্রের খবর, ভোট দেবেন বুথের কর্মীরাই।
জানা গিয়েছে, জনসংযোগে দক্ষতা বেশি যাদের, এমনই তিন জন করে ব্যক্তির নাম চূড়ান্ত হচ্ছে ৷ গোপন ব্যালটে / স্লিপে তিনজনের নাম লিখে বাছাই করা হচ্ছে। সেটি পাঠানো হচ্ছে দলের শীর্ষ নেতার কাছে। সেখান থেকেই পছন্দের প্রার্থী সম্পর্কে আন্দাজ করে নিচ্ছে দল। সেখান থেকেই একজনকে প্রার্থী করবে দল। এর ফলে একদিকে যেমন প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষ ঠেকানো যাবে। দুই স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রার্থী পাওয়া যাবে। সূত্রের খবর, হুগলি জেলার সিঙ্গুরে ইতিমধ্যেই এই পদ্ধতিতে বাছাই হয়ে গিয়েছে। সেই নামের স্লিপ, বাক্স ভর্তি হয়ে আসছে দলের অন্দরে। এই মডেল রাজ্যের প্রতিটা বিধানসভায় কার্যত হতে চলেছে। এ নিয়ে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘দল নানা পদ্ধতিতে এগোচ্ছে। এটা ঠিক যোগ্যতম প্রার্থী বাছাই চলছে৷ যোগ্যতম মানু্ষকেই বাছাই করা হচ্ছে। তাকেই খুঁজে বার করা হচ্ছে।’