ফের মাথাচাড়া দিল রাম-বাম আঁতাতের জল্পনা। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে প্রবল বিতর্ক। গতকাল সিপিআইএমের মুখপত্র গণশক্তিতে ভারতীয় রেলের একটি বিজ্ঞাপন ঘিরেই শোরগোলের সূত্রপাত। উক্ত বিজ্ঞাপনে দেখা যাচ্ছে, রানাঘাট-বনগাঁ নতুন ইএমএউ ট্রেন যাত্রার সূচনার কথা প্রচার করা হয়েছে। বিজ্ঞাপনে মোদীর ছবি রয়েছে, সঙ্গে তাঁর বার্তাও রয়েছে। ভারত কীভাবে বদলে যাচ্ছে, কীভাবে সফল হচ্ছে স্বপ্ন, তারই এক জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত ভারতীয় রেল-এমন প্রচার করা হচ্ছে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে। ওই বিজ্ঞাপনে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নামও রয়েছে। একই সঙ্গে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার, রানাঘাট উত্তর-পশ্চিমের বিধায়ক পার্থ সারথী চট্টোপাধ্যায়ের নামও বিজ্ঞাপনে জায়গা পেয়েছে। রেলের বিজ্ঞাপনে অনেকেই রাজনীতির দেখছেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংল বলছেন, বিজ্ঞাপনের আড়ালে টাকা দিয়ে বাম কর্মীদের মধ্যে নিজেদের কথা প্রচার করছে গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে, এপ্রসঙ্গে মুখে কুলুপ এঁটেছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। টাকার জন্যেই কী মুখে আঙুল দিয়েছে আলিমুদ্দিন? উঠেছে এমনই প্রশ্ন।
উল্লেখ্য, গণশক্তি একটি দলের মুখপাত্র। আর পাঁচটা সাধারণ সংবাদপত্রের মতো নয়। সেখানেই টাকা নিয়ে বিজেপির প্রচার করার অভিযোগ উঠছে। এই বিজ্ঞাপন প্রকাশের ঠিক আগের দিন, অর্থাৎ রবিবার বামেদের সঙ্গে আঁতাতের কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু প্রকাশ্যে বলেছেন, বামপন্থীরা ভোট না দিলে নন্দীগ্রামে তিনি জিততে পারতেন না। বেশ কয়েক বছর আগে, গণশক্তিতে ঠান্ডা পানীয় কোকের বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছিল। সেই সময় বিতর্ক উঠেছিল চরমে। সে সময় পুঁজিবাদী মার্কিন সংস্থার বিজ্ঞাপনকে কেন্দ্র করে সিপিআইএমের অন্দরেই চরমে উঠেছিল ক্ষোভ। গণশক্তিতে চিট ফান্ডের বহু বিজ্ঞাপনও প্রকাশিত হত। বারবার বামেদের আদর্শবাদ আর বিজ্ঞাপন নিয়ে বিতর্ক উঠছে। এবার তাতে নয়া সংযুক্তি সংযোজন হল মোদী সরকারের বিজ্ঞাপন। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে বইছে সমালোচনার ঝড়। নেটমাধ্যমে বামেদের নিন্দায় সরব হয়েছেন অনেকেই।