আজ, বুধবার থেকে নয়া পথে হাঁটতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে এই পথ চলার উদ্দেশ্য জনসংযোগ। তাই আজ ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে প্রত্যন্ত গ্রামের অঞ্চলে পৌঁছে যাবেন ‘দিদির দূত’রা। আর গ্রাম ঘুরে শুনবেন মানুষের চাওয়া–পাওয়ার কথা। মানুষ যা পেয়েছেন সেটা যেমন লেখা হবে, তেমন না পাওয়ার খতিয়ানও তৈরি হবে। কোনওরকম আতিশয্য নয়। দলের কর্মীর বাড়িতে তাঁদের সঙ্গে ভাগ করে খেতে হবে রাতের খাবার।
গত ২ জানুয়ারি নজরুল মঞ্চের সভা থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি। রাজ্যের দু’কোটি পরিবারের ১০ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছনোর কথাও জানান তিনি। সেই লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আজ থেকে প্রচার অভিযানে নামছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১৫টি জনমুখী প্রকল্প নিয়ে তাঁরা কথা বলবেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। আজ থেকে তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের সফর ‘অঞ্চলে এক দিন’। যেখানে সাংসদ, বিধায়ক, জেলা সভাপতি, জেলা পরিষদের সদস্য এবং দলীয় পদাধিকারীদের কোথায় যেতে হবে সেটার তালিকাও তৈরি করে দেওয়া হয়েছে।
এদিন থেকে দিনের শুরুতে প্রথমে ধর্মীয় স্থান থেকে আর্শীবাদ প্রার্থনা নিতে হবে। তারপর যেতে হবে পঞ্চায়েত অফিস, সরকারি হাসপাতালে। এরপর স্থানীয় বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সেরে অঞ্চলের সাধারণ মানুষের অভাব–অভিযোগ শুনবেন নেতারা। আর দিনের দ্বিতীয় ধাপে জনসংযোগ, সভা করতে হবে নেতাদের। দলীয় কর্মীর বাড়িতে নৈশভোজ সেরে রাত কাটাতে হবে সেখানেই। তার পরদিন দলীয় অফিসে পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে সফর।