ফরাসি ফুটবলমহলে তুঙ্গে তোলপাড়। অতিসম্প্রতি জিনেদিন জিদানকে নিয়ে ফরাসি ফুটবল সংস্থার প্রধান নোয়েল লে গ্রায়েতের মন্তব্য নিয়ে বইছে বিতর্কের ঝড়। পরিস্থিতি সামাল দিতে গ্রায়েত নিজের বক্তব্যের জন্য ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন। কাতার বিশ্বকাপের পরেই জিদানের ফ্রান্স জাতীয় দলের কোচ হওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল ছিল বলে দাবি করেছিল ফরাসি সংবাদমাধ্যম। কিন্তু দিদিয়ে দেশঁ-র উপরেই শেষ পর্যন্ত আস্থা রাখলেন ফরাসি ফুটবল সংস্থার কর্তারা। ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত কোচের দায়িত্বে রেখে দেওয়া হয়েছে তাঁকেই। জিজুকে কোচ করার বিষয়ে ইতিমধ্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে ব্রাজিল ফুটবল সংস্থাও। গত সপ্তাহে সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গ্রায়েত বলেন, ‘‘জিদান ব্রাজিলের কোচ হবেন? হলেও আমার কিছু আসে-যায় না। ওঁর যা ইচ্ছে করতে পারেন। যেখানে ইচ্ছে যেতে পারেন। এটা আমার ভাবার বিষয় নয়। ওঁর সঙ্গে কখনওই আমার এই বিষয়ে আলোচনা হয়নি। অন্তত ও আমাকে ফোন করলে সেটা ধরব না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘দেশঁ-র সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা আমরা ভাবিনিওনি। আমি জানি না, এগিয়ে যাওয়া বলতে কী বোঝানো হচ্ছে। হ্যাঁ, ফ্রান্সের কোচ হওয়ার দৌড়ে জিদান ছিলেন। ওঁর প্রচুর সমর্থকও রয়েছেন। কেউ কেউ তো অপেক্ষা করেছেন দেশঁ কত দ্রুত চলে যাবেন তার জন্য। কিন্তু ওঁকে দোষারোপ করার জায়গা কোথায়?’’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জিদান সম্পর্কে এমন বিতর্কিত মন্তব্যে খুশি হতে পারেননি কিলিয়ান এমবাপে। ফরাসি তারকা গণমাধ্যমে লিখেছেন,‘‘জিদান মানেই ফ্রান্স। ওঁর মতো কিংবদন্তিকে এ ভাবে আমরা অপমান করতে পারি না।’’ রিয়াল মাদ্রিদের পক্ষ থেকেও এমন অবমাননাকর মন্তব্যের প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘এমন এক ব্যক্তিত্বকে উদ্দেশ্য করে এই মন্তব্য করা হয়েছে, যিনি বিশ্ব ফুটবলের এক অনন্য চরিত্র। এমন মন্তব্যের মাধ্যমে তাঁকে অসম্মান করা হয়েছে।’’ পরিস্থিতি সামাল দিতে সোমবার পাল্টা বিবৃতি দিয়েছেন গ্রায়েতও। তিনি বলেছেন, ‘‘স্বীকার করছি আমি ঠিক কথা বলিনি। তবে যে ভাবে বিষয়টাকে তুলে ধরা হয়েছে, তাতে আমার সঙ্গে জিদানের তিক্ততা তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছে। ফ্রান্সের সমস্ত মানুষের মতো আমিও তাঁকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করি।’’ পাশাপাশি তিনি যোগ করেছেন, ‘‘আমি জিদান সম্পর্কে যে মনোভাব পোষণ করি, সেটা হয়তো আমার বিবৃতিতে প্রতিফলিত হয়নি। তার জন্য নিঃশর্ত ভাবে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।’’ ১৯৯৮ বিশ্বকাপে ফ্রান্সকে চ্যাম্পিয়ন করার অন্যতম ফুটবলারকে জাতীয় দলের কোচ করতে মরিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও। কিন্তু সব প্রস্তাবই ফিরিয়ে দিয়েছেন ফ্রান্সের কোচ হতে আগ্রহী জিজু।