মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল উত্তর ২৪ পরগণার বেলঘরিয়ায়। ভাই-বোনকে খুন করে পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলেন দাদা। মঙ্গলবার বেলঘরিয়ার আবাসন থেকে পুলিশ দু’টি নিথর দেহ উদ্ধার করে। তারপরই এলাকার এক পুকর থেকে উদ্ধার হয় আর একটি দেহ। যা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয় সূত্রের খবর, কামারহাটির ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রিয়নাথ গুহ রোড এলাকার এক আবাসনের একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন সজল চৌধুরী। তাঁর সঙ্গেই থাকতেন অবিবাহিত দিদি রানু চৌধুরী ও ভাই বিমল। মঙ্গলবার সকালে পাড়ার পুকুরে সজলের দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ এসে ওই দেহ পুকুর থেকে উদ্ধার করে। তারপর খোঁজ-খবর নিতে তাঁর ফ্ল্যাটে যায়। দরজা বাইরে থেকে বন্ধ ছিল। সেই দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকতেই চোখ কপালে ওঠে পুলিশ ও স্থানীয়দের। দেখা যায়, বন্ধ ফ্ল্যাটের মধ্যে মৃত অবস্থায় পড়ে আরও দু’টি দেহ। স্থানীয়রা জানান, মৃতরা সজলের দিদি ও ভাই।
স্বাভাবিকভাবেই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকায় খুব পরিচিত ছিল এই পরিবার। ভাই-বোনদের সঙ্গে সখ্যতাও ছিল সবার। সজল এলাকায় চিত্র শিল্পী হিসেবে পরিচিত। পাড়ায় বাচ্চাদের আঁকা শেখাতেন তিনি। তাঁকে দেখে কখনই মনে হয়নি যে, তিনি এমন কাণ্ড ঘটাতে পারেন। বেলঘরিয়া থানার পুলিশ তিনটি দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, প্রথমে ভাই ও দিদিকে খুন করে সজল। তারপর নিজে আত্মহত্যা করেন। কিন্তু ঠিক হয়েছিল তা খতিয়ে দেখা শুরু করেছে পুলিশ। আর্থিক সংকট থেকেই সজল এমন চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিনা তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। শুধু তাই নয়, পারিবারিক কোনও বিবাদ ছিল কিনা, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।