এর আগে গাঁটওয়ালা বাঁশের ব্যবহারের কথা শোনা গিয়েছিল বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের মুখে। এবার সেই বাঁশ দিয়ে মেরে তৃণমূলের কর্মীদের মুখ, হাঁটু ভেঙে দেওয়ার নিদান দিলেন মেদিনীপুর জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি অরূপ দাস।
মেদিনীপুর সদর বিডিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। আর সেই বিক্ষোভ অবস্থানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলা বিজেপির মুখপাত্র তথা জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি অরূপ দাস বিতর্কিত মন্তব্য করেন। যা নিয়ে শুরু হয়েছে মেদিনীপুরে রাজনৈতিক চাপানউতর।
বিডিও অফিসের সামনে টোটোয় দলীয় পতাকা, সাউন্ড বক্স লাগিয়ে ভাষণ দেন অরূপ দাস। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা তৃণমূল নই। তবে যে তৃণমূল নেতারা টাকা খাবেন, মোটা গাঁটওয়ালা বাঁশ আছে, মুখেও মারব, গাঁটেও মারব। হাসপাতালে পাঠাব, দায়িত্ব নিয়ে বলে যাচ্ছি। কোনও পুলিশ বাঁচাতে পারবে না। এক পয়সাও ওই অঞ্চল প্রধানকে খেতে দেব না। তৃণমূল নেতাকে থামে বেঁধে মারব। গাঁটওয়ালা বাঁশ দিয়ে মুখে মারব, হাঁটুতে মারব, ভেঙে হাসপাতালে ভর্তি করব। পুলিশেরও ক্ষমতা নেই আটকাবে। এ কথা বলে গেলাম’।
এরই পাল্টা জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরার বক্তব্য, ‘বিজেপি দলটা বাংলাতে টিকে রয়েছে ভাষা সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে। এরা কোনও উপকারে নেই, মানুষের কোন কল্যাণে নেই। তাঁদের রাজ্যস্তরের নেতাদেরও মুখের ভাষা একইরকম। স্বাভাবিকভাবেই সেই দলের জেলার সহ-সভাপতি ভাষা সন্ত্রাসের মধ্য দিয়েই নিজেকে টিকিয়ে রাখবেন’।