রাজনৈতিক মহলে নেমে এল শোকের ছায়া। প্রয়াত হলেন বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। রবিবার ভোর পাঁচটা নাগাদ উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের বাসভবনে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার স্পিকারও ছিলেন কেশরীনাথ। মাসখানেক ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। গত বছরের ৮ই ডিসেম্বর পা পিছলে বাথরুমে পড়ে গিয়েছিলেন। ভেঙে গিয়েছিল হাত। তারপর থেকেই অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন তিনি। সেইসঙ্গে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রাও কমে যাচ্ছিল। ৩০শে ডিসেম্বর তাঁকে প্রয়াগরাজের সিভিল লাইনসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কয়েকদিন পর হাসপাতাল ছাড়া পেয়েছিলেন বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল। কিন্তু ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করছিলেন না। ক্রমশ অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন। রবিবার ভোর পাঁচটা নাগাদ প্রয়াত হন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। আজ সন্ধ্যায় প্রয়াগরাজে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছে সূত্র।
উল্লেখ্য, ১৯৩৪ সালের ১০ই নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেছিলেন কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। সাত ভাইবোনের মধ্যে সবথেকে ছোটো ছিলেন। প্রাথমিকভাবে সেন্ট্রাল হিন্দু স্কুলে পড়াশোনা শুরু করেছিলেন। তারপর ১৯৪৯ সালে আগরওয়াল ইন্টার কলেজ থেকে হাইস্কুল এবং ১৯৫৩ সালে এলাহাবাদ (বর্তমানে প্রয়াগরাজ) বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা সম্পূর্ণ করেছিলেন। এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই এলএলবি করেছিলেন। এলাহাবাদ হাইকোর্টে প্র্যাকটিসও করতেন। যিনি মীরাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি.লিট পেয়েছিলেন। লিখেছিলেন বইও। ছ’বার উত্তরপ্রদেশের বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন কেশরীনাথ। ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত জনতা দলের শাসনকালে উত্তরপ্রদেশের ক্যাবিনেট মন্ত্রী ছিলেন। উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার স্পিকারও ছিলেন কেশরীনাথ। তারপর ২০১৪ সালে বাংলার রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন। বাংলার ২০ তম রাজ্যপাল ছিলেন তিনি। ২০১৯ সাল পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। পাশাপাশি, সেইসময় কেশরীনাথের কাঁধে ছিল বিহার, মেঘালয় ও মিজোরামের রাজ্যপালের দায়িত্বও।