তড়িঘড়ি পদক্ষেপের পথে রাজ্য সরকার। আগামীকাল, অর্থাৎ সোমবার থেকেই বাংলায় শুরু হয়ে যাচ্ছে হাম ও রুবেলার টিকাকরণ কর্মসূচী। গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবক বা ‘রুরাল মেডিক্যাল প্র্যাক্টিশনার’ (আরএমপি)-দের গ্রামের প্রতিটি স্তরে যোগাযোগ থাকে। সেই যোগাযোগকে কাজে লাগাতে চাইছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। টিকাকরণ নিয়ে মানুষকে সচেতন করে তোলার জন্যই এহেন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাছে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাম-রুবেলার টিকাকরণ চলবে ১১ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তবে দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে ১৫ই ফেব্রুয়ারি থেকে ১৮ই মার্চ পর্যন্ত হাম রুবেলার টিকাকরণ চলবে।
এপ্রসঙ্গে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, অনেকের মধ্যেই এই প্রতিষেধক নিয়ে সংশয় রয়েছে। সে ক্ষেত্রে সচেতনতার অভাব রয়েছে। কারণ অনেকেই এই প্রতিষেধক নিতে ভয় পাচ্ছেন, আবার অনেকের ধর্মীয় অন্ধবিশ্বাস রয়েছে। সেই সমস্ত ক্ষেত্রে প্রতিষেধক প্রদানে যাতে কোনও বাধা তৈরি না হয় তার জন্য গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। একটি জার্নালে গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবকদের ভূমিকা নিয়ে একটি সমীক্ষা বেরিয়েছে। তাতে দেখানো হয়েছে, তাঁরা গ্রামীণ স্তরের মানুষের ক্ষেত্রে কতটা প্রভাব ফেলতে পারেন। চিকিৎসকদের একাংশের বক্তব্য, গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবকরা আরও বেশি করে মানুষের কাছে পৌঁছতে পারেন। জানা গিয়েছে, আপত্তি বা বিভিন্ন ধর্মীয় বিশ্বাস এই প্রতিষেধক প্রদানে যাতে বাধা তৈরি না করে তার জন্য প্রচার চালাবেন এই পরিষেবকরা। এ বিষয়ে গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবকদের বক্তব্য, এটা খুবই ইতিবাচক উদ্যোগ। সরকার যাতে আরও বেশি করে তাঁদের কাজে লাগায়, তেমনটাই চাইছেন পরিষেবকরা।