কিছুদিন আগেই এক অমানবিক দৃশ্যের সাক্ষী থেকেছিল জলপাইগুড়ি। হাসপাতাল থেকে কোনও অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে মৃত মায়ের দেহ কাঁধে তুলে নিয়েই হেঁটেছিলেন হতদরিদ্র ছেলে। এবার সেই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করল স্বাস্থ্য দফতর। কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখবে পাঁচ সদস্যের এই তদন্ত কমিটি। জানা গিয়েছে, ৫ জন সদস্যের এই কমিটিতে রয়েছেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা, মেডিক্যাল কলেজের সুপার এবং জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের শিক্ষক চিকিৎসক। এই ঘটনা নিয়ে পাঁচ দিনের মধ্যে কমিটিকে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে জলপাইগুড়ি হাসপাতালের সুপার কল্যাণ খাঁ জানিয়েছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ইতিমধ্যেই রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে, এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী। তিনি জানান, বিভিন্ন হাসপাতলে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া দেয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সরকার সেই ভাড়া নির্ধারন করে না। তবে তারা ভাড়া সঠিকই নেয়। জলপাইগুড়ির ঘটনা তিনি শুনেছেন। ওখানে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অ্যাম্বুলেন্স আছে। ওদের যে ভাড়া তা গরীব পরিবারের দেওয়ার ক্ষমতা ছিল না। সেই পরিবারের উচিত ছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা। মন্ত্রীর কথায়, আমি খবর নিয়ে দেখেছি ওঁরা হাসপাতাল কর্তপক্ষর সঙ্গে কথা না বলেই মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে হাঁটতে থাকে। গ্রিন ভ্যালি নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তারা অ্যাম্বুলেন্সে করে মৃতদেহ পৌঁছে দেয়। এটুকুর জন্য একটা খবর তৈরি হয়েছে।