বিগত কয়েকবছর ধরে লাগাতার ভূমিধস চলছিলই। রাতারাতি বসে যাচ্ছিল মাটি। ফাটল ধরছিল একের পর এক বাড়ি থেকে শুরু করে রাস্তাতেও। তবে গত বৃহস্পতিবারের পর থেকে ক্রমশই আরও বড় হচ্ছে উত্তরাখণ্ডের যোশীমঠ বিপর্যয়। শুক্রবার সন্ধের পর থেকে রাত পর্যন্ত আরও বাড়িতে ফাটল দেখা গিয়েছে। শনিবার সকাল পর্যন্ত যা খবর তাতে প্রায় ৬০০ বাড়িতে ফাটল দেখা গিয়েছে এই ধর্মীয় জনপদে।
একটি পরিত্যক্ত মন্দিরের ফাটল দিয়ে যা শুরু হয়েছিল তা ক্রমশ বাড়তে থাকায় তীব্র উদ্বেগ তৈরি হয়েছে প্রশাসনের মধ্যেও। শুক্রবার সন্ধ্যায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। তিনি প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন, প্রয়োজনে হেলিকপ্টার ব্যবহার করে দুর্গত মানুষকে এয়ার লিফটের মাধ্যমে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত করতে হবে।
শুক্রবার সারা রাত প্রবল ঠান্ডায় কয়েক হাজার মানুষ কাটিয়েছেন খোলা আকাশের নীচে। এই অবস্থায় পুনর্বাসনের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জলবায়ু পরিবর্তন এবং পাহাড়ি এলাকায় নিরন্তর পরিকাঠামোর উন্নতির নাম করে পাথর ভেঙে রাস্তা তৈরি ও চওড়া করা এবং হাইডেল পাওয়ার প্ল্যান্টের জন্য টানেল তৈরি করার কারণেই পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তাঁরা।
অন্যদিকে, এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারও পৃথক একটি টিম পাঠাচ্ছে যোশীমঠে। সেখানে পরিবেশ মন্ত্রক, কেন্দ্রীয় জল কমিশন, জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া, ক্লিন গঙ্গা মিশনের প্রতিনিধিরা থাকবেন। তাঁরা গিয়ে ওই এলাকার মাটির অবস্থা দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে কী করণীয় সে ব্যাপারে রিপোর্ট দেবে দিল্লীকে।