আজ, শনিবার থেকে বিহারে শুরু হয়েছে জাতিভিত্তিক জনগণনা। শুক্রবারই এ নিয়ে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার বলেছিলেন, ‘এই জনগণনা শুধুমাত্র সংখ্যা জানার জন্য করা হচ্ছে না। রাজ্যে বসবাসকারী বিভিন্ন জাতিগুলির অর্থনৈতিক অবস্থা জানতেই এই সমীক্ষা করা হচ্ছে।’ এবার এই ইস্যুতে বিজেপিকে নিশানা করলেন রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। তিনি বলেন, ‘পদ্ম-শিবির কখনই গরীবের উন্নতি চায় না। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সময় এই সমীক্ষা করা হয়েছিল। কিন্তু ভুল থাকার অজুহাত দিয়ে সেই রিপোর্ট খারিজ করে দেয় বিজেপি।’ এই কারণেই আগামী নির্বাচনগুলিকে বিহারের মানুষ গেরুয়া শিবিরকে পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করবে বলে আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি।
প্রশাসন সূত্রে খবর, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে শেষ হবে জাতিভিত্তিক জনগণনার প্রথম পর্যায়ের সমীক্ষার কাজ। সমীক্ষার দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হবে পয়লা এপ্রিল থেকে। চলবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। এই সমীক্ষাতে থাকছে জাতিভিত্তিক বাসস্থানের তালিকা। এছাড়াও কে কোন পেশার সঙ্গে যুক্ত, মাসে কত টাকা আয় হয় — সেই তথ্যও এই সমীক্ষার অন্তর্ভুক্ত বলে জানিয়েছে বিহার প্রশাসন। এই জনগণনার জন্য গত কয়েক মাস ধরে কর্মীদের প্রশিক্ষণও দিয়েছে বিহার সরকার। প্রশিক্ষণ প্রাপ্তরা এই সমীক্ষার কাজ করায়, তাতে ভুলের সম্ভাবনা নেই বলেই দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতইশ কুমার। তাঁর দাবি, ‘এই জনগণনার মূল লক্ষ্য হল অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া জাতিগুলির উন্নতি সাধন। সেই লক্ষ্যেই বিহার সরকার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।’