বন্ধ হয়ে যেতে পারে সরকারি কোম্পানি এমএমটিসি। সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে। ১৩ জানুয়ারি নীতি আয়োগের সিইও-র নেতৃত্বে কোর গ্রুপ অফ অফিসারদের (সিজিও) একটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিং হবে। সিজিওর সেই মিটিংয়ে এমএমটিসি বন্ধের উপায় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। নোডাল মন্ত্রক, বাণিজ্য মন্ত্রক, এমএমটিসি বন্ধ করতে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিশ্বের যে কোনও জায়গা থেকে যদি কিছু কিনে ভারতে আনতে হয়, তখন এই কাজটি করে এমএমটিসি অর্থাৎ ধাতু এবং মিনারেল ট্রেডিং কর্পোরেশন। কিন্তু এখন এই সংস্থাই বন্ধ করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ হিসাবে জানা যাচ্ছে, সরকার ইতিমধ্যেই এমএমটিসি-এর কার্যক্রমকে একত্রীভূত করার পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকার সম্ভবত এই সংস্থাকে বাতিল ঘোষণা করতে পারে বলে সূত্রের খবর।
সরকার সম্প্রতি জানিয়েছিল, কিছু কোম্পানি এখন আর গুরুত্বপূর্ণ নয়। এমএমটিসি-ও এই তালিকায় রয়েছে। এখন বেশিরভাগ সংস্থা নিজেরাই বাইরে থেকে পণ্য কিনে নিয়ে আসে। কিন্তু সবথেকে বড় প্রশ্ন এমএমটিসি-র কর্মচারী ও শেয়ার হোল্ডারদের ভবিষ্যত নিয়ে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, আগামী সপ্তাহের মিটিংয়ে শেয়ারহোল্ডার ও কর্মচারীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এক সপ্তাহে এমএমটিসি স্টক ৬ শতাংশ হারিয়েছে। কিন্তু এক মাসে ৮ শতাংশ বেড়েছে। এক বছরে তা কমেছে ৯ শতাংশ। এছাড়াও এর স্টক গত ৩ বছরে ১১২ শতাংশের বিশাল রিটার্ন দিয়েছে। আয়ের দিকে যদি চোখ রাখা হয়, জুলাই-সেপ্টেম্বর এই কোম্পানির মুনাফা ২১০.৬৯ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ১,৫৭৬.৭১ কোটি টাকা হয়েছে। এর মুনাফা বেড়েছে ৮৪৮ শতাংশ। তবে আয় কমেছে ৭৬ শতাংশ। ২,৩১৬.২৮ কোটি টাকা থেকে আয় ৫৪৫.৪৮ কোটি টাকায় নেমে এসেছে।