আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল এলাকাবাসীর মধ্যে। ফের
মধ্য কলকাতার বউবাজারে পুরনোর বাড়ির একটি অংশ ভেঙে পড়ল। যা কেন্দ্র করে শুক্রবার তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। শুক্রবার সকাল আটটা নাগাদ বউবাজারে বিপিন বিহারী গাঙ্গুলি স্ট্রিটের উপর থাকা একটি বাড়ি থেকে বিশালকার চাঁই ভেঙে রাস্তা পড়ে। যে জায়গায় বাড়ি অংশ ভেঙে পড়েছে, সেখানে একজন পনির বিক্রেতা প্রতিদিন দোকান বিক্রি করেন বলে জানিয়েছে স্থানীয়া। শুক্রবার কোনও কারণে পনির বিক্রেতা আসেননি, সেই কারণে বড় ধরনের কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। পুরনো বাড়ির অংশ ভেঙে পড়ার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের আধিকারিকরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, যেভাবে রাস্তায় বাড়ি থেকে বিশাল চাঁই ভেঙে পড়েছে, তাতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা ছিল। এমনকী প্রাণহানিও হতে পারত। সৌভাগ্যবশত তা হয়নি। বাড়ি ঠিক নিচেই একটি মিষ্টির দোকান রয়েছে, সেই দোকানেওর কোনও ক্ষতি হয়নি বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলরের উদ্যোগে পুরসভার কর্মীরা ভেঙে পড়া বাড়ির অংশ পরিষ্কারের কাজ শুরু করেছেন। পুলিশরে তরফে বাড়ির সামনে অংশ গার্ডরেল দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। তবে কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে-র দাবি এই ঘটনার সঙ্গে মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজের কোনও যোগাযোগ নেই
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন চৌরঙ্গির তৃণমূল বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “ভগবানের অশেষ কৃপা ও করুণা যে কারও মৃত্যু হয় নি। তবে যেকোনও দিন বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ২০১৩ সালে নতুন মালিক এসেছ। তাঁর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করব। এখানে দখলদাররাও রয়েছেন। বিকেলের মধ্য কথা বলে সমস্যা সমাধান করতে হবে। বাজার বন্ধ করে দেওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই। আমি কলকাতা পুরসভার মেয়রের সঙ্গে কথা বলব।” বাড়ি নিয়ে কয়েকবছর ধরেই বউবাজারের বাসিন্দাদের মধ্যে ভয় ছড়িয়েছে। মেট্রো প্রকল্পের কাজের জন্য মেশিন দিয়ে মাটি কাটার সময় বউবাজারের দুর্গাপিতুরি লেনের বেশ কিছু বাড়িতে ফাটল ধরেছিল। মেট্রোরেলের উদ্যোগে তাদেরকে হোটেলে নিয়ে রাখার ব্যবস্থা করা হলে এই সমস্যার স্থায়ী কোনও সমাধান এখনও হয়নি। তার মধ্যেই বিপিন বিহারী গাঙ্গুলি স্ট্রিটের ব্যস্ত এলাকয় বাড়ি অংশ ভেঙে পড়ল। ফলত ফের ঘনীভূত আতঙ্কের রেশ।