চলতি বছরে নেই কুম্ভমেলা। করোনা পরিস্থিতিও অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। সেই কারণে এবছর গঙ্গাসাগর মেলায় প্রায় ৬০ থেকে ৭০ লক্ষ মানুষের সমাগম হতে পারে বলে মনে করছে প্রশাসন। কিন্তু, এই বিপুল সংখ্যক মানুষের ভিড় নিয়ন্ত্রিত হবে কী ভাবে? কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে কী ভাবেই বা সামাল দেওয়া হবে? কী ভাবেই বা চালানো হবে নজরদারি। এবার এই মুশকিল আসান করার অভিনব একটি উপায় বের করেছে প্রশাসন। কী সেই উপায়?
সাগরমলায় কত পুণ্যার্থী আসছেন, তার নজরদারিতে এবার সাগরদ্বীপের সমস্ত পরিবহণমাধ্যমে লাগানো থাকছে জিপিএস ট্র্যাকার। এই জিপিএস ট্র্যাকারের মাধ্যমে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা থেকে শুরু করে যে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সহজ হবে জানাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ।
কপিল মুনির আশ্রমের প্রধান জ্ঞানদাস বাবাজির প্রধান সহকারী মহন্ত সঞ্জয় দাসের কথায়, ‘এবার তীর্থযাত্রীর সংখ্যা ৬০ থেকে ৬৫ লক্ষ হতে পারে। তাই প্রশাসন প্রথম থেকেই সতর্ক। ভিড় নিয়ন্ত্রণে এবার পিলগ্রিম ট্র্যাকিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম কাজে লাগতে চাইছে তারা। বাবুঘাট-সহ সমস্ত প্রান্ত থেকে সাগরযাত্রীদের জন্য ব্যবহৃত সরকারি ও বেসরকারি সমস্ত গণ পরিবহণেই এই ট্র্যাকিং ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে’।
মেলার নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে তীর্থযাত্রীদের জন্য তৈরি হয়েছে হোগলা ছাউনির অস্থায়ী আস্তানা। অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনা এড়াতে সেইসমস্ত হোগলা ছাউনিতে ছড়ানো হচ্ছে অগ্নিনিরোধক রাসায়নিক দ্রব্য। সুরক্ষার স্বার্থে যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রাখছে দমকল। পুজোর সময় কোটালে সাগরের দু’নম্বর স্নানঘাট ভেঙেছে। ছ’টি স্নান ঘাটের মধ্যে প্রায় সবকটি অল্প বিস্তার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সিলভার স্যান্ড বোঝাই করে নদীর পাড় বাঁধাইয়ের কাজ চলছে।
