আগে থেকেই হাওড়া-এনজেপি রুটের জন্য ছিল সুপার ফাস্ট ট্রেন শতাব্দী এক্সপ্রেস। কিন্তু তা সত্ত্বেও সম্প্রতি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা করেছে মোদী সরকার। যা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, রাজনীতিকে প্রাধান্য দিতেই কি এই ট্রেন? এবার সেই প্রশ্নের যৌক্তিকতা আরও বাড়ল। কারণ সাময়িকভাবে বন্ধ হল শতাব্দী এক্সপ্রেসের যাতায়াত। প্রসঙ্গত, বরাবরই নতুন বছরের শুরুতে পাহাড়ে যাওয়ার হিড়িক দেখা যায় পর্যটকদের মধ্যে। অথচ এই ভরা মরশুমেই বন্ধ হল শতাব্দীর চলাচল। রেল অবশ্য জানিয়েছে, রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য বেশ কিছু ট্রেনের সঙ্গে শতাব্দী এক্সপ্রেসকে বন্ধ করা হয়েছে। শতাব্দী বন্ধ রাখা মানেই বন্দে ভারতের চাহিদা বৃদ্ধি। আর সাময়িকভাবে বন্ধ থাকার প্রভাবে ম্রিয়মান হয়ে পড়তে পারে শতাব্দীর চাহিদাও।
আজ, বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ট্রেনটি বাতিল করা হয়েছে। ওই দিনগুলিতে বাতিল হয়েছে মালদহ টাউন-এনজেপি এক্সপ্রেস, কলকাতা-হলদিবাড়ি এক্সপ্রেস, এনজেপি-দিঘা এক্সপ্রেস। এনজেপি-চেন্নাই সেন্ট্রাল ছাড়বে শিলিগুড়ি থেকে। আপ ও ডাউন পদাতিক এক্সপ্রেস, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস, কামরূপ এক্সপ্রেস ও সরাইঘাট এক্সপ্রেস- চারটি ট্রেন আলুয়াবাড়ি রোড-বাগডোগরা-শিলিগুড়ি হয়ে ঘুর পথে চলানো হবে। কাজের জন্য নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনকে এড়াবে ট্রেনগুলি। এনজেপি স্টেশনে ইয়ার্ডের রিমডেলিংয়ের জন্য স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালের জন্য তিনদিন ধরে নন ইন্টারলকিংয়ের কাজ চলবে বলে জানিয়েছে এনএফ রেল। এই কাজের জন্য শতাব্দী এক্সপ্রেস বন্ধ রাখা হল, অথচ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলবে? উঠছে প্রশ্ন।
