২০০২ সালে সবরমতী এক্সপ্রেসে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার পর থেকেই ব্যাপক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয় গোটা গুজরাত জুড়ে। আর সেই সময়েই গণধর্ষণ করা হয় ২১ বছর বয়সি তরুণী বিলকিস বানোকে। সেই গণধর্ষণ কাণ্ডের ১১ জন দোষীকে জেল থেকে মুক্তি দিয়েছে গুজরাতের বিজেপি সরকার। যা নিয়ে বিতর্ক চলছেই। বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত খতিয়ে দেখার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সিপিএম নেত্রী সুহাষিনী আলি, সাংবাদিক রেবতী লউল, লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য রূপরেখা বর্মারা। কিন্তু বুধবার সেই মামলার শুনানি থেকে অব্যাহতি নিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বেলা ত্রিবেদী। ফলে নতুন বেঞ্চ গঠন না হওয়া পর্যন্ত শুনানি মুলতুবি হয়ে গেল।
বুধবার শুনানির শুরুতেই বেঞ্চের অন্য বিচারপতি অজয়কুমার রাস্তোগি জানান, বিচারপতি ত্রিবেদী মামলাটি শুনতে চান না। তার পর তিনি নির্দেশ দেন, মামলাটি এমন কোনও বেঞ্চের তালিকাভুক্ত করা হোক যেখানে তাঁদের দু’জনের মধ্যে কেউ থাকবেন না। প্রসঙ্গত, গত ১৭ ডিসেম্বর ১১ জন ধর্ষক ও খুনির মুক্তির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য বিলকিস আর্জি জানিয়েছিলেন শীর্ষ আদালতে। সেই বেঞ্চেও প্রথমে ছিলেন বিচারপতি ত্রিবেদী এবং বিচারপতি রাস্তোগী। কিন্তু ত্রিবেদী পরে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন।
