৮ জানুয়ারি মেলা শুরু। তার আগে ফের বঞ্চনা উসকে দিয়ে গঙ্গাসাগরকে জাতীয় ইস্যু করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধায়। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, বারবার অনুরোধ করেও গঙ্গাসাগরকে জাতীয় মেলা ঘোষণা করা হয়নি। কুম্ভ মেলার সব খরচ কেন্দ্র সরকার দেয়। উত্তরপ্রদেশ সরকার পায়। আমাদের ১০ পয়সার বাতাসা দিয়েও কেউ সাহায্য করেনি।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে গিয়েছেন। সেখানে রাজ্য সরকারের খরচে তৈরি একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি। গঙ্গাসাগরের হেলিপ্যাড ময়দান থেকে তিনটি হেলিপ্যাড উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকেই ভারচুয়ালি উদ্বোধন করেন সুন্দরবন বিষয়ক দপ্তরের ৪০ মিটার দীর্ঘ কাকদ্বীপের কামারহাট সেতু। রাজ্যের পাঁচটি তীর্থক্ষেত্রকে একত্রিত করে তৈরি ‘বাংলার মন্দিরে’রও সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, গঙ্গাসাগর মেলা এই ধরনের একমাত্র মেলা যেটা জলপথ পেরিয়ে আসতে হয়। প্রতিবছর যাতায়াত মিলিয়ে প্রায় ১ কোটি মানুষ নদী পার হন। অন্য সব মেলায় কেন্দ্রের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক আকাশপথে যোগাযোগের ব্যবস্থা করে। আমরা এখানে আমাদের মতো ধাপে ধাপে করছি। বস্তুত, সাগরে যোগাযোগ সুগম করতে মুড়িগঙ্গার উপর একটা ব্রিজ দরকার। এই সেতুটি হলে সাগর আসতে আর কাকদ্বীপ লটএইটে ভেসেলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। কলকাতা থেকে সড়কপথে যুক্ত হবে কপিলমুনির আশ্রম।