ঢাক–ঢোল পিটিয়ে উদ্বোধন করা হয়েছিল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মায়ের শেষকৃত্য সেরে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব হাওড়া স্টেশনে উপস্থিত ছিল। আর একঝাঁক বিজেপির সাংসদ থেকে মন্ত্রী মঞ্চ আলো করেছিলেন। এবার শুক্রবার বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন অনুষ্ঠান ঘিরে বঙ্গ–বিজেপিতে নয়া কোন্দল শুরু হল। বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ভিভিআইপি কার্ড বিলি ঘিরে স্বজনপোষণের অভিযোগ।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? প্রধানমন্ত্রীর সরকারি অনুষ্ঠানের জন্য রাজ্য–বিজেপির পক্ষ থেকে রেলের কাছে ৩২৫ জনের লম্বা তালিকা পাঠানো হয়েছিল। বঙ্গ–বিজেপির দাবি মতোই কার্ড দেওয়া হয়। কিন্তু যাঁদের নামে কার্ড ইস্যু করা হয়েছিল তাঁদের অনেকেই সেই মহার্ঘ বোর্ডিং পাস পাননি বলে অভিযোগ। সেই তালিকায় রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, প্রাক্তন সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত, প্রাক্তন আইপিএস অফিসার ভারতী ঘোষ সহ অন্যান্যরা। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় বন্দর রাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বনগাঁর সাংসদকে এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পর্যন্ত করা হয়নি পার্টির পক্ষ থেকে। এই নিয়ে এখন বিজেপির অন্দরে তুমুল ঝামেলা শুরু হয়েছে। এমনকী কেউ কেউ নাকি বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে নালিশ ঠুকেছেন।
কে, কী বলেছেন বিষয়টি নিয়ে? এই মহার্ঘ বোর্ডিং পাস নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর ঘনিষ্ঠমহলে বলেন, ‘আমি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনা অনুষ্ঠানের জন্য কোনও আমন্ত্রণ পাইনি। পার্টির পক্ষ থেকে আমায় কেউ ফোন করেননি।’ যদিও ওইদিনের অনুষ্ঠানে মঞ্চে বাংলার বাকি তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার, জন বারলা এবং নিশীথ প্রামাণিক উপস্থিত ছিলেন। শুধু ছিলেন না শান্তনু ঠাকুর। বেশ কিছুদিন আগেই রাজ্য বিজেপির সংগঠন সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীর অপসারণের দাবি করেছিলেন শান্তনুবাবু। তাই কি মতুয়া নেতার কাছে আমন্ত্রণ যায়নি? উঠছে প্রশ্ন।