দেশের জনপ্রতিনিধিরা কী বলতে পারেন, কী পারেন না। তাঁদের বাক স্বাধীনতায় কোনও বিধিনিষেধ জারি করা উচিত কিনা। এই সংক্রান্ত মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। তারই শুনানিতে এবার বাক স্বাধীনতার প্রশ্নে বিধায়ক, সাংসদদের উপরে অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করার দাবি খারিজ করল শীর্ষ আদালত। বাক স্বাধীনতা সংক্রান্ত সংবিধানের ১৯(১)(এ) ধারাই কার্যকর হবে তাঁদের জন্যও। যেমনটা সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রেও কার্যকর। মঙ্গলবার এমনই রায় দিল শীর্ষ আদালতের বিচারপতিদের বেঞ্চ। সাধারণ মানুষের মতোই সরকারি কাজের ভুলভ্রান্তি নিয়ে সমালোচনা করতে পারেন একজন নেতা, বললেন বিচারপতিরা।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই জনপ্রতিনিধিদের জন্য নয়া কোড অব কন্ডাক্ট লাগু করার দাবি উঠেছে। এই মর্মে শীর্ষ আদালতে দায়ের হয়েছে বহু মামলা। ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর তেমনই এক মামলার শুনানিতে তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বিষয়টি সাংবিধানিক বেঞ্চের কাছে পাঠায়। সদ্য শেষ হওয়া বছরের ১৫ নভেম্বর এই মামলার রায় সংরক্ষিত করে সাংবিধানিক বেঞ্চ। সেদিন মৌখিক পর্যবেক্ষণে বিচারপতি বি ভি নাগরত্ন বলেছিলেন, জনপ্রতিনিধি হোন বা সরকারী কর্মচারি— সংবিধান অনুযায়ী দেশের প্রত্যেক মানুষের যেমন বাক স্বাধীনতা আছে, তেমনই অনুচ্ছেদ ১৯(২) মোতাবেক কারও এমন কোনও মন্তব্য করার অধিকার নেই, যার জেরে অন্য সহ নাগরিকের সম্মানহানি হয়। তাই আলাদা করে কোনও কোড অব কন্ডাক্টের প্রয়োজন নেই।