তৎপর কলকাতা পুলিশ। প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক বছর ব্যাপী এনসিআরবির রিপোর্ট অনুযায়ী কলকাতা দেশের নিরাপদতম শহর। দিল্লী, মুম্বইয়ের তুলনায় কলকাতার অপরাধের সংখ্যা কম। এবার কলকাতার নিরাপত্তা আরও সুনিশ্চিত করতে উদ্যোগী হল লালবাজার। অপরাধ রুখতে এবার নতুন বছরে শহরের প্রতিটি অলিগলি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলার উদ্যোগ নিচ্ছে লালবাজার। দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদে রাস্তাঘাটে যখন নারীরা অপরাধের শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত, কিছু ক্ষেত্রে সময়ও লাগছে, তখনই শহরে বসানো হচ্ছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার ক্যামেরা। ইতিমধ্যেই ১২০০ ক্যামেরা বসানোর কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। আগামী পাঁচ বছরে কলকাতাকে প্রায় ১০ হাজার ক্যামেরায় মুড়ে ফেলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বিজ্ঞানসম্মতভাবেই এলাকা চিহ্নিত করে বসানো হবে ক্যামেরাগুলি।
উল্লেখ্য, বর্তমানে শহরে থাকা প্রায় আড়াই হাজার পুলিশ ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালায় লালবাজার। কিন্তু শহরে আরও ক্যামেরার প্রয়োজন রয়েছে। গোটা ২০২২ সাল ধরে চলেছে সমীক্ষা চালিয়েছে পুলিশ, শহরের আর কোথায় কোথায় ক্যামেরার প্রয়োজন রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হয়েছে। জায়গাগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে। তারপরেই ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শহরজুড়ে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় ১৫০টি অত্যাধুনিক অটোমেটিক নম্বর প্লেট রেকগনিশন ক্যামেরা বসাচ্ছে লালবাজার। এতে গাড়ির চিহ্নিতকরণের কাজ অনেক সহজ হবে। অপরাধ বা দুর্ঘটনার কবলে পড়া গাড়ির নম্বর কন্ট্রোল রুমের সার্ভারে দিলেই কোন কোন রাস্তা দিয়ে গাড়িটি গিয়েছে, তা বলে দেবে এএনপিআর ক্যামেরা। গাড়ির স্যাটেলাইট ম্যাপ পেয়ে যাবে পুলিশ। এখন শহরের এন্ট্রি ও এগজিট পয়েন্ট মিলিয়ে রয়েছে মোট ২৫টি এএনপিআর ক্যামেরা।
