লক্ষ্য পঞ্চায়েত ভোট। গ্রামে গ্রামে পঞ্চায়েত জয়ের লক্ষ্যে এবার তৃণমূলস্তরে ঘর গোছানোর কাজ শুরু করে দিল ঘাসফুল শিবির।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে সোমবার, নজরুল মঞ্চে ছিল তৃণমূলের কর্মী সম্মেলন। এদিনের অনুষ্ঠানে মূল বক্তা ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ছিলেন, তৃণমূলের সাংসদ, বিধায়ক থেকে শুরু করে সব স্তরের নেতানেত্রীরা। এদিন সেই মঞ্চে দাঁড়িয়েই ‘দিদির দূত’ অ্যাপের কথা ঘোষণা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জানান, ১০ কোটি মানুষের জন্য নতুন অ্যাপ আনছে তৃণমূল। নাম ‘দিদির দূত’। তিনি জানান, এই অ্যাপের মাধ্যমে ১৫টি পরিকল্পনা পৌঁছে দেওয়া হবে সাধারণ মানুষের কাছে । ৩৫০ জন নেতানেত্রী আগামী দু’মাস গ্রামে গ্রামে পৌঁছবেন। সাধারণ মানুষ সরকারি প্রকল্পের সমস্ত সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন কি না, তা দেখা হবে। গুগলের প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করা যাবে এই অ্যাপ।
দিদির দূত হিসাবে কাজ করবেন প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ ভলান্টিয়ার। তাঁরা মানুষের বাড়ি বাড়ি যাবেন। সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ শুনবেন।
প্রত্যেক সাংসদ, বিধায়ক, সভাধিপতি, জেলা প্রেসিডেন্ট, জেলা চেয়ারম্যান, দলীয় মুখপাত্রদের নিয়ে ৩২০ জনের দল তৈরি হয়েছে। তাঁরা জানুয়ারির ১০ তারিখ থেকে ফেব্রুয়ারি ২৮ পর্যন্ত দশ রাত করে গ্রামে থাকবেন।
বাংলায় সব মিলিয়ে ৩ হাজার ৩৪৩ অঞ্চল রয়েছে। এক জনের উপরে ১০টি অঞ্চলে রাত কাটানোর দায়িত্ব থাকবে। তবে ৩২০ জনের হিসাবে ৩ হাজার ২০০ অঞ্চলে রাত কাটানো যাবে। এর মাধ্যমে ৯৮ শতাংশ অঞ্চলেই ‘দিদির দূতে’রা যেতে পারবেন বলে জানান অভিষেক। তিনি জানান, অঞ্চলে গিয়ে কী করতে হবে তা-ও জানিয়ে দেবেন শীর্ষ নেতৃত্ব।
তবে শুধু পঞ্চায়েত এলাকাই নয়, দিদির এই দূতেরা পৌঁছে যাবেন, ১১৭টি পুরএলাকা এবং ৭টি কর্পোরেশন এলাকাতেও। প্রতি শহর, প্রতি ব্লকে এটা কার্যকর হবে বলে জানান অভিষেক।