শেষমেশ অপেক্ষায় ইতি বাংলাবাসীর। মাঝে কদিন তাপমাত্রার ঊর্ধ্বমুখিতা লক্ষ্য করা গেলেও এখন তা কমতির দিকে। গত ৩১শে ডিসেম্বর তাপমাত্রা ছিল ১৪.৮ ডিগ্রি যা ১লা জানুয়ারি হয় ১৭.৫ ডিগ্রি। সেই তাপমাত্রা ২রা জানুয়ারি হল ১৬.৩ ডিগ্রি। আগামী ৪৮ ঘন্টায় আরও সামান্য পারদপতনের পূর্বাভাস রয়েছে। সকালে গাঢ় কুয়াশা থাকবে এবং কমবে দৃশ্যমানতা। পরে পরিষ্কার আকাশ দেখা যাবে। শীতের আমেজ থাকলেও জাঁকিয়ে শীতের পরিস্থিতি আপাতত দেখা যাবে না। বছরের প্রথম সপ্তাহ এরকমই থাকবে আবহাওয়া। কলকাতায় সকালে গাঢ় কুয়াশা দেখা যাবে। পরে আংশিক মেঘলা আকাশ থাকলেও বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৩ ডিগ্রি হবে। রবিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৫.২ ডিগ্রি ছিল। বাতাসের জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৬৫ থেকে ৯০ শতাংশ। পাশাপাশি রাজ্যের রাজ্যজুড়ে কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে। বেশিরভাগ জেলাতেই সকালে হালকা মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে। কিছু জায়গায় ঘন কুয়াশার সম্ভাবনার কথাও জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি, দার্জিলিং এবং কালিম্পং এর পার্বত্য এলাকায় সোমবারও হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং এবং কালিম্পং ছাড়া আপাতত রাজ্যের আর কোথাও বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। আগামী তিন দিন শুষ্ক আবহাওয়া এবং পরিষ্কার আকাশ দেখা যাবে। শীতের আমেজ থাকলেও জাঁকিয়ে শীতের কোনও সম্ভাবনা নেই। উত্তর পশ্চিম ভারতে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার পূর্বাভাস রয়েছে। আগামী দুই থেকে তিন দিনে অন্তত চার ডিগ্রি তাপমাত্রা নামতে পারে উত্তর-পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলিতে। সমতলেও তাপমাত্রা নামার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে আবহাওয়াবিদদের তরফে। মধ্য ভারতের কিছু রাজ্যে দু থেকে তিন ডিগ্রি তাপমাত্রা নামতে পারে বলে জানা গিয়েছে। তবে পূর্ব ভারতে একই রকম পরিস্থিতি বজায় থাকবে আগামী তিন দিন। তারপর থেকে তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়তে পারে। অন্তত ২ থেকে ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস রয়েছে। কুয়াশা এবং শৈত্য প্রবাহও থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার সতর্কতা রয়েছে দেশের রাজধানী দিল্লী-সহ পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারে। আগামী চার থেকে পাঁচ দিন এই ঘন কুয়াশার সতর্কতা রয়েছে। এছাড়াও অসম, মেঘালয়, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা এবং অরুণাচল প্রদেশে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা এবং বিক্ষিপ্তভাবে ঘন কুয়াশার পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন।
