রাজনৈতিক দল হিসাবে এবার ২৫ বছর পূর্ণ করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আগামীকাল অর্থাৎ ১লা জানুয়ারি তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস। ২০২১ কে কড়া চ্যালেঞ্জ হিসাবে ধরে নিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সামনে আরও বড় চ্যালেঞ্জ আসছে। এটা ধরে নিয়েই দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে বার্তা দিতে চায় রাজ্যের শাসক দল।
তৃণমূল কংগ্রেস সোমবার ২ জানুয়ারি নজরুল মঞ্চে একটি প্রচার কর্মসূচি ঘোষণা করবে। যেখানে রাজ্য সরকারের দেওয়া সামাজিক প্রকল্পগুলির বহুমুখী দিকগুলি দেখানো হবে। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত সাংসদ, বিধায়ক এবং রাজ্য মন্ত্রী সহ দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্য করে ভাষণ দেবেন। রাজ্য, জেলা ও ব্লক কমিটির আধিকারিকদের পাশাপাশি দলের মহিলা ও যুব ফ্রন্টের সদস্যরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।
নজরুল মঞ্চে সোমবারের অনুষ্ঠানটি দলীয় কর্মীদের সম্মেলন হিসাবে ঘোষিত হলেও, এই দিনটি তৃণমূল কংগ্রেসের ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর একেবারে পরেরদিনই করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালের জানুয়ারিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নিজের আলাদা দল গঠন করেছিলেন। ২০২১ সালের বাংলার নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস ‘দিদিকে বলো’, ‘বাংলার গর্ব মমতা’ এবং ‘বাংলা নিজের মেয়েকে চায়’-এর মতো প্রচার ইভেন্ট চালু করেছিল।
দলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা জাতীয় মুখপাত্র সুখেন্দু শেখর রায় জানিয়েছেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের ২৫ বছর। এতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ত্যাগ, জনমুখী আন্দোলন জড়িয়ে আছে। দেশে এমন নজির নেই। ২০১৬ আগে পর্যন্ত আমরা আঞ্চলিক দল ছিলাম। স্বরাজ দল, বাংলা কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি সীমিত সাফল্য পেলেও, ধারাবাহিক দাগ কাটতে পারেনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলকে সংগঠিত করেছেন। প্রাণঘাতী হামলা হয়েছে তাঁর উপর। এর পর নানা গণ আন্দোলন তাঁর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম-নেতাই যার উদাহরণ। কৃষকদের অধিকার রক্ষা, শান্তি ফেরানো অনেক ঘটনা আছে’।