ভারত জোড়ো যাত্রাকে কংগ্রেস রাজনৈতিক কমসূচি বলে মানতে চায়নি। যদিও দলের একাংশ প্রথম থেকেই বলে আসছে, রাহুল গান্ধীর উচিত ছিল, আগে কংগ্রেস জোড়ো কর্মসূচি নেওয়া। এই কথা প্রথম শোনা গিয়েছিল যাঁর মুখে সেই গুলাম নবি আজাদ স্বয়ং কংগ্রেসে ভিড়তে পারেন। তাঁর সঙ্গে কংগ্রেস নেতা অম্বিকা সোনী, ভূপিন্দর সিং হুড্ডা প্রমুখের কথা চলছে।
কংগ্রেসের একদা বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী জি-২৩’র প্রধান মুখ প্রবীণ নেতা গুলাম নবি আজাদ মাস ছয়েক আগে আচমকাই কংগ্রেস ছেড়ে নিজের দল ডেমোক্র্যাটিক আজাদ কংগ্রেস গঠন করেন। মূলত রাহুল গান্ধীর অতিসক্রিয় ভুল সিদ্ধান্ত এবং সনিয়ার নিষ্ক্রিয়তাকে দায়ী করে দল ছাড়েন কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির দীর্ঘদিনের সদস্য তথা জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আজাদ।
তবে নিজের দল গড়ার পর তাঁর গতিবিধি থমকে গিয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের মধ্যেই। বলতে গেলে জম্মুর মধ্যেই। অনেকেই মনে করেছিলেন আজাদের সঙ্গে বিজেপির বোঝাপড়া হবে রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে। কিন্তু বিজেপি আজাদের ব্যাপারে আগ্রহ দেখায়নি তিনি রাজ্যে কংগ্রেসকে ভাঙতে না পারায়। জম্মু-কাশ্মীরের কংগ্রেস এখনও গান্ধী পরিবারের পাশেই, টের পেয়েছেন আজাদ এবং বিজেপি নেতৃত্ব।
এই পরিস্থিতিতে গুলাম নবির সাম্প্রতিক দুটি বক্তব্য রাজনৈতিক মহলের নজর কাড়ে। বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, কংগ্রেস মুক্ত ভারত কোনওভাবেই সম্ভব নয়। বরং কংগ্রেসই পারে বিজেপিতে ভারত মুক্ত করতে। হিমাচলে কংগ্রেসের জয় বিজেপির পতনের ইঙ্গিত বলেও দাবি করেন এই প্রবীণ নেতা।