কোনও বিরোধী দলের অভিযোগ নয়, সরকারি নথি বলছে- মোদী জমানায় দেশের সার্বিক ঋণ হু হু করে বাড়ছে। কেবল গত আট বছরে দেশে ঋণের বোঝা বেড়েছে ৮৪ লক্ষ ৭৭ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা। দেশের সামগ্রিক ঋণ বাড়ার অর্থই হল, দেশের প্রত্যেক নাগরিকের উপর আর্থিক দায় চাপা। নরেন্দ্র মোদী সরকারের সৌজন্যে মাথাপিছু ঋণের বোঝা বেড়েছে ৫৮ হাজার ৬৯১ টাকা। ভারতে এখন জনপ্রতি ঋণের বোঝা ১ লক্ষ ৮ হাজার ২৩২ টাকা। অর্থাৎ, এই মুহূর্তে যে নিষ্পাপ শিশুটি ভূমিষ্ঠ হবে, তার মাথাতেও চাপবে ওই ঋণের বোঝা।
১ ফেব্রুয়ারি সংসদে পেশ হবে নতুন অর্থবর্ষের বাজেট। যেহেতু ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। ফলে তার আগে এটিই দ্বিতীয় মোদি সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। আগামী লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে যতই দান-খয়রাতি, জনমোহিনী কিছু ঘোষণা নিশ্চই করবেন, কিন্তু তাতে ঋণের বোঝা কমার কোনও সম্ভাবনা নেই।
কেন্দ্রীয় সরকারেরই তথ্য বলছে, চলতি বছরে স্রেফ গত ছ’ মাসে দেশের ঋণের বোঝা বেড়েছে ১১ লক্ষ ৩১ হাজার ৩৭৯ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ সালের বাজেট পেশের সময় সরকার সংসদে জানিয়েছিল, কেন্দ্রের ওপর এখন ঋণের বোঝা ১৩৫ লক্ষ ৮৮ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। কিন্তু গত সেপ্টেম্বর মাসে (এটিই সাম্প্রতিক, ফাইনাল পরিসংখ্যান প্রকাশ হবে আসন্ন বাজেটে) সেই অঙ্কটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৭ লক্ষ ১৯ হাজার ৫৭২ কোটি টাকা। অথচ ডঃ মনমোহন সিং সরকারের থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে ২০১৪ সালে কেন্দ্রের কুর্সিতে নরেন্দ্র মোদী বসার সময় যে অঙ্কটি ছিল মাত্র ৬২ লক্ষ ৪২ হাজার ২২০ কোটি টাকা।