কথা ছিল আজ কলকাতার হাওড়া স্টেশনে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনে আসবেন তিনি। কিন্তু শুক্রবার ভোররাতে প্রয়াত হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মা হীরাবেন মোদী। ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে খবরটি জানানোর পরই আজকের সমস্ত কর্মসূচি বাতিল করে আমেদাবাদে পৌঁছে যান মোদী। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিল তাঁর পরিবার পরিজনরা। কিন্তু দেখা যায়নি মোদীর স্ত্রী যশোদাবেনকে। এবারও আড়ালেই থেকে গেলেন মোদী জায়া।
১৯৬৮ সালে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সংসার জীবন শুরু করেন যশোদাবেন। তখন মোদী ১৮, তিনি ১৬। ৩ বছর বয়সেই তাঁর সঙ্গে বাগদান হয় মোদীর। ১১ বছরে বিয়ে। সংসারজীবন শুরু এর পাঁচ বছর পরে। কিন্তু তাঁদের দাম্পত্য টিকেছিল মাত্র ৩ মাস। এরপরই সংসারধর্ম ত্যাগ করেন মোদী। যশোদাবেন ফিরে যান গুজরাতের ঈশ্বরওয়ারা গ্রামে। জীবন কাটিয়ে দেন স্কুল শিক্ষিকা হিসেবে। অবসর নেওয়ার পরে এখন উঞ্ঝাগ্রামে থাকেন ভাইদের সঙ্গে। ২০১৪ সালে প্রথমবার যশোদাবেন-মোদীর সম্পর্কের কথা জানতে পারে সারা দেশ। লোকসভা নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় যশোদাবেনের নাম উল্লেখ করেন তাঁর স্ত্রী হিসেবে। তবে শপথগ্রহণে আমন্ত্রিত হননি তিনি। এরপর কখনও মোদীর সঙ্গে তাঁকে দেখা যায়নি। শাশুড়ির মৃত্যুতেও সেই ধারা অব্যাহত রইল।
