বছর ঘুরলেই ফের পঞ্চায়েত ভোট বাংলায়। সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। ইতিমধ্যেই জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। এই আবহেই মোদী সরকারের তোপ দাগলেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। বললেন, “বিজেপি একমাত্র ভয় খায় তৃণমূল আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।” পাশাপাশি ছেড়ে কথা বললেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও। ভারতীয় জনতা পার্টিকে ‘ভারতীয় জোকার পার্টি’ বলেও একহা নিলেন তিনি। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল নেতা বলেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের রাতের ঘুম উড়ে যাওয়ার যদি কোনো কারণ থাকে তবে সেটা একমাত্র তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি প্রশ্ন তোলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকায়। “মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বাড়িতে কোনো অনুষ্ঠান হচ্ছে, অথবা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মুখ্যমন্ত্রী কোথাও কোনো কর্মসূচীতে যাচ্ছে, তখনই তাঁদের বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছে ইডি, সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থা গুলোকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেছে মোদী সরকার।” । পাশাপাশি কটাক্ষের সুরে বিজেপি সরকারকে বিদ্ধ করে তিঁনি বলেন “নিজেদের প্রয়োজনে পাড়ার কলতলার ঝগড়াতেও ইডি সিবিআই কে কাজে লাগায় কেন্দ্র।”
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও কড়া ভাষায় একহাত নেন শান্তনু। শুভেন্দুর উদ্দেশ্যে তোপ দেগে তিনি বলেন, “রাতের অন্ধকারে ভোট চুরি করে জয়ী হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। জেল খাটার ভয়ে, টাকা নিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন তিনি। বর্তমানে নিজের দলেই কোনঠাসা বিরোধী দলনেতা। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও তাঁকে কুৎসা করতে ছাড়েন না।” শিশির-পুত্রের তারিখ রাজনীতির দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ ১৪ই ডিসেম্বর আসানসোলে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনাকে টেনে তিনি বলেন, “কম্বল দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই একটা ছোট জায়গাতে সাধারণ মানুষকে নিয়ে এসে অন্যায়ভাবে পদপিষ্ট করে মেরে ফেলেছে শুভেন্দু অধিকারী।” এদিন তৃণমূল সাংসদের কথায় উঠে এল বঙ্গের আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রসঙ্গও। শান্তিপূর্ণভাবে বাংলায় পঞ্চায়েত ভোট হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি। পাশাপাশি, লাল কার্ড দেখিয়ে খুব তাড়তাড়ি রাজ্যের মানুষ বিজেপিকে বাংলা থেকে তাড়াবে বলে গেরুয়াশিবিরকে সতর্ক করলেন তিনি।
