কোভিড পরবর্তী সময়ে বাসে উঠলেই ইচ্ছেমতো ভাড়া নেওয়া হচ্ছে যাত্রীদের থেকে। প্রথমত অধিকাংশ বাসেই নেই কোনও নির্দিষ্ট ভাড়ার তালিকা। একই রুটে কেউ যদি নেয় ১০, তো কেউ আবার নিচ্ছে ১২ টাকা। সরকারের তরফ থেকে বারবার ভাড়া নিয়ে বেসরকারি ও মিনিবাস মালিকদের সতর্ক করেও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। আর তারপরেই মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। সেই মামলায় হলফনামা দিয়ে রাজ্যের পরিবহণ দফতর জানাল, ৪ বছর আগে সরকারের বেঁধে দেওয়া ভাড়াই নেবে রাজ্যের বেসরকারি বাস এবং মিনিবাসগুলি।
প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে বাস ভাড়া নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। সেই মামলাতেই আদালত রাজ্যের কাছে নিজেদের বক্তব্য হলফনামা আকারে জমা দিতে বলে। দিন কয়েক আগে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী হলফনামা দিয়ে পরিবহণ দফতরের বিশেষ সচিব অনিন্দ্য সেনগুপ্ত জানান, সরকারের তরফ থেকে কোনও ভাড়া বাড়ানো হয়নি। বেসরকারি ও মিনিবাসগুলি যাতে অতিরিক্ত ভাড়া না নেয় তা নিশ্চিত করা হবে। হলফনামায় আরও বলা হয়, ২০১৮ সালে তৎকালীন অতিরিক্ত মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাড়া নির্ধারিত করে দিয়েছিলেন তা মেনেই ভাড়া নেবে বাসগুলি।
এই বিষয়ে পরিবহণ দফতরের বিশেষ সচিব আদালতে জানিয়েছেন, অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ উঠলে রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসক এবং পরিবহণ দফতরের সব আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষকে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। এমনকী সরকারের নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা পাঠানো হয়েছে। সরকারের বক্তব্য শোনার পর হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় যে, হলফনামা অনুযায়ী বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। যদি মনে হয় এই নির্দেশের অন্যথা হচ্ছে প্রয়োজনে আদালত অবমাননার করতে পারেন যে কেউই। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী বছর ১০ জানুয়ারি।