কখনও গবাদি পশুর ধাক্কায় ট্রেনের ক্ষতি, তো কখনও ট্রেনের ধাক্কায় মহিলা বা শিশুর মৃত্যু— বারবারই বিতর্কের শিরোনামে উঠে এসেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাধের বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এবার সেই সেমি হাই স্পিড ট্রেন চালু নিয়েও সস্তার রাজনীতি শুরু করেছে বিজেপি। ট্রেন চালুর বিষয়টি নিয়ে গেরুয়া শিবির রাজনৈতিক সুবিধা নিতে চাইছে বলে অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন মহলে। মঙ্গলবার এর প্রমাণও মিলেছে হাওড়া স্টেশনে। গতকাল হাওড়া স্টেশনের ২২ নম্বর প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে ছিল ট্রেনটি। আর তার কামরার ভিতরে উঠেই উদ্দাম নাচ শুরু করে দেয় বিজেপি কর্মীরা। ওঠে মোদীর নামে স্লোগানও। এরপরই ট্রেন থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় ওই বিজেপি কর্মীদের।
৩০ ডিসেম্বর কলকাতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী। ওইদিন হাওড়া স্টেশন থেকে বন্দে ভারত ট্রেনটির যাত্রার উদ্বোধন করবেন তিনি। আর তাই ইতিমধ্যেই হাওড়া স্টেশন নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। কিন্তু তার মধ্যেই দুপুরে চার-পাঁচজন বিজেপি কর্মী ট্রেনে উঠে পড়েন। কামরার ভিতরই বেশ কিছুক্ষণ চলে তাঁদের নাচানাচি। বন্দে ভারত ট্রেন চালু নিয়ে বিজেপি পার্টির তরফেও প্রচার চলছে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এই ট্রেন চালুকে দলের সাফল্য হিসেবে তুলে ধরে রাজনৈতিক সুবিধা নিতে চাইছে তারা। উল্লেখ্য, আগামী শুক্রবার ট্রেনটি উদ্বোধনের সময় হাওড়া স্টেশন চত্ত্বরে বিজেপি পার্টির তরফে নানা কর্মসূচি নেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। দলীয় পতাকা, প্ল্যাকার্ডও লাগানো হবে। এছাড়া, ওইদিন বিভিন্ন স্টেশনেও থাকবেন বিজেপি কর্মীরা। বাংলায় বিজেপি সাংসদ ও বিধায়করাও বন্দে ভারত ট্রেনে বিভিন্ন জায়গা থেকে উঠবেন।