রাজ্যের বিরুদ্ধে বঞ্চনা নিয়ে ফের সরব হলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সম্প্রতি, পাঁচটি আঞ্চলিক কমিটি গঠন করা হয়েছে ইউজিসি-র তরফে। এই পাঁচটি আঞ্চলিক কমিটিতে বিভিন্ন রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের পাশাপাশি রয়েছেন কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরাও। অথচ, এ রাজ্যের কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ওই কমিটির একটিতেও রাখা হয়নি। এমনটা কেন হল, এবার তা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
ইউজিসি-র বিরুদ্ধে সরব হয়ে বুধবার তিনি টুইট করেন, ‘ইউজিসি পাঁচটি জোনাল কমিটি তৈরি করেছে। উত্তর, পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের সাতজন উপাচার্য নিয়ে এই জোনাল কমিটিগুলি তৈরি করা হয়েছে। অথচ, আমাদের রাজ্যের ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও উপাচার্যকেই কমিটিগুলিতে নেওয়া হয়নি। অথচ, ‘অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ান ইউনিভার্সিটি’র সভাপতি, এ রাজ্যেরই একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য’।
প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বর্তমানে ‘অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ান ইউনিভার্সিটি’র সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। অথচ, তাঁকেই এই ইউজিসির জোনাল কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। সুরঞ্জন দাসের নাম না করেই এ নিয়ে সরব হয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে ইউজিসির সঙ্গে বেশ কয়েকটি বিষয়ে মতবিরোধ হয়েছে রাজ্যের। জাতীয় শিক্ষানীতির একাধিক অংশ কার্যকর করা নিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে বিশেষ করে নির্দেশ দিয়েছিল ইউজিসি। তবে, এ নিয়ে রাজ্যের শিক্ষা দফতর এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। ইউজিসির বিভিন্ন নির্দেশিকা নিয়ে রাজ্যের এই ধীরে চলো নীতিই সম্ভবত ইউজিসি-র এই আকস্মিক শৈত্যের কারণ। এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।