চলতি বছরের ৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছিল কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’। দেখতে দেখতেই ১০০ দিন পেরিয়ে গিয়েছে তার। যাত্রার প্রথম পর্যায় শেষ হওয়ার পর আপাতত বিরতি চলছে। আগামী ৩ জানুয়ারি ফের রামলীলা ময়দান থেকে যাত্রা শুরু হয়ে উত্তরপ্রদেশে ঢুকবে। কিন্তু সেখানে অখিলেশ যাদব, মায়াবতী বা জয়ন্ত চৌধরিরা ভারত জোড়ো যাত্রায় যোগ দেবেন না। তবে যাত্রা কাশ্মীরে পৌঁছলে ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা এবং পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি রাহুলের যাত্রায় যোগ দেবেন।
প্রসঙ্গত, রাহুল নিজে চিঠি লিখে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রীকে ভারত জোড়ো যাত্রায় আহ্বান জানিয়েছিলেন। তৃণমূল আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাঁরা পদযাত্রায় যোগ দেবেন না। রাজনৈতিক শিবিরের খবর, সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব, আরএলডি-র জয়ন্ত চৌধরিও যাত্রা থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে চাইছেন। বিএসপি নেত্রী মায়াবতী এমনিতেই বিজেপির দিকে ঝুঁকে বলে কংগ্রেস নেতাদের অভিযোগ। তাই তিনি রাহুলের সঙ্গে যাত্রায় যোগ দেবেন, এমনটা কংগ্রেস নেতারা আশা করেননি। তবে অখিলেশ, জয়ন্তরা না এলেও তাঁদের দলের কেউ এই যাত্রায় যোগ দেবেন বলে কংগ্রেস নেতারা এখনও আশা করছেন।
অখিলেশ সোমবারই জানিয়েছিলেন, তাঁদের ভাবনা এই যাত্রার সঙ্গে রয়েছে। কিন্তু রাহুলের সঙ্গে হেঁটে এসপি জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসের নেতৃত্ব মেনে নিচ্ছে, এমন কোনও বার্তা অখিলেশ দিতে চাইছেন না। এসপি-র মুখপাত্র ঘনশ্যাম তিওয়ারি বলেছেন, ভারত জোড়ো যাত্রার বার্তা সংবিধানেরই বার্তা। কিন্তু এসপি একে রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তোলার আন্দোলন হিসেবে দেখতে চায় না। আরএলডি প্রধান জয়ন্ত জানিয়েছেন, অন্য কাজ থাকায় তিনি যোগ দিচ্ছেন না। তবে এর সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই। আবার, সিপিএমের শীর্ষ নেতৃত্বের যাত্রার প্রতি মানসিক সমর্থন থাকলেও কেরালায় কংগ্রেস বনাম সিপিএমের লড়াইয়ের কথা ভেবে তাঁরা এই যাত্রায় যোগ দেবেন না।