নতুন বছরের শুরুতেই ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি ও একদিনের সিরিজ খেলবে টিম ইন্ডিয়া। সেই সিরিজের দল এখনও ঘোষণা করেনি বিসিসিআই। এবার কি টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসাবে হার্দিক পাণ্ডিয়াকে দেখা যাবে? নির্বাচকরা কিছু জানানোর আগেই তেমন ইঙ্গিত দিল সম্প্রচারকারী সংস্থা। শ্রীলঙ্কা সিরিজের জন্য যে বিজ্ঞাপন দেখা যাচ্ছে তাতে রয়েছে হার্দিকের ছবি। বোর্ডের জনৈক কর্তা সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছিলেন যে, রোহিত শর্মার চোট এখনও সারেনি। লোকেশ রাহুলকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে বসিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন সেই কর্তা। এমন অবস্থায় হার্দিকের উপরেই দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। কিন্তু দল নির্বাচন না হলে সেটা জানা সম্ভব নয়। সম্প্রচারকারী সংস্থা যদিও সেটার জন্য অপেক্ষা করেনি। হার্দিকের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শনাকার ছবি দিয়ে প্রচার করছেন তারা। পাশাপাশি সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, রোহিতের চোট সারতে সময় লাগবে। লোকেশ রাহুল টেস্ট সিরিজে ভারতকে নেতৃত্ব দিলেও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অধিনায়ক হতে পারেন হার্দিক।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় এক দিনের ম্যাচে স্লিপে ফিল্ডিং করার সময় ডানহাতের বুড়ো আঙুলে চোট পান রোহিত। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। ফিরে এসে ফিল্ডিং না করলেও ব্যাট করতে নেমেছিলেন তিনি। অর্ধশতরান করলেও ভারতকে জেতাতে পারেননি। এর পর তৃতীয় এক দিনের ম্যাচে না খেলেই মুম্বই চলে যান রোহিত। টেস্ট সিরিজেও ফিরতে পারেননি তিনি। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে রোহিতের না থাকার পিছনে যদিও শুধু চোট কারণ নয় বলে মনে করছে পিটিআই। তাদের মতে ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রোহিতকে ভাবছে না বোর্ড। তাই টি-টোয়েন্টি সিরিজ়গুলি থেকে ধীরে ধীরে রোহিতকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। হার্দিককে শুধু টি-টোয়েন্টি নয়, সাদা বলের অধিনায়কও করা হতে পারে। রোহিতকে বাদ দেওয়ার অন্যতম কারণ অবশ্যই তাঁর বার বার চোট পাওয়া। বিরাটের পর সব ধরনের ক্রিকেটে রোহিতকে অধিনায়ক করার পর থেকে এখনও পর্যন্ত মাত্র দু’টি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। একাধিক সাদা বলের ম্যাচ খেলতে পারেননি চোটের জন্য। তাই হার্দিক তৈরি থাকলে বোর্ড খুব তাড়াতাড়ি তাঁর হাতে সাদা বলের ক্রিকেটের দায়িত্ব তুলে দিতে পারে। কিন্তু এ সবের কোনওটাই সরকারি ভাবে জানানো হয়নি বোর্ডের পক্ষ থেকে।