আর মাত্র কয়েকটা মাসের অপেক্ষা। পঞ্চায়েতের সুফল পেতে ইতিমধ্যেই রাজনীতির জমি তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। কোন কোন বুথে পিছিয়ে রয়েছে তারা? এবার সেই সেই বুথ চিহ্নিত করে শুরু হচ্ছে জন সংযোগের কাজ। কোথায় ভুল ছিল? কোথায় খামতি? কোন নেতার জন্য নষ্ট হয়েছে ভাবমূর্তি? এবার এই সবের পিছনেই নজর দিতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পিছিয়ে থাকা বুথের মানুষের কাছে পৌঁছতে তৈরি হচ্ছে রোস্টার।
এতদিন, অফিস কাছারি, কিংবা কারখানায় শিফটের রোস্টারের কথা শুনেছিলেন। এবার রাজনৈতিক দলেও চালু হতে চলেছে এই রোস্টার প্রক্রিয়া। অর্থাৎ, কোথায়, কখন, কবে, কোন নেতা, কোন বুথ পরিদর্শন করবেন, একেবারে দিনক্ষণ, বার ধরে তার তালিকা তৈরি হচ্ছে তৃণমূলের অন্দরে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে পিছিয়ে থাকা বুথের মানুষের কাছে পৌঁছতে এমনই অভিনব কায়দায় এগোতে চাইছে তৃণমূল।
তৃণমূল সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে কাজ শুরু হয়েছে উত্তর ২৪ পরগণা জেলায়। সেখানে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার উপরে। নতুন বছরের শুরু থেকেই লোকসভা ও বিধানসভায় পিছিয়ে থাকা বুথ চিহ্নিত করে, রোস্টার তৈরি করে, সেখানকার মানুষের কাছে পৌঁছবেন তৃণমূলের সাংসদ-বিধায়কেরা। গোষ্ঠীকোন্দল ভুলে নেতাদের এক যোগে কাজ করার বার্তা দিয়েছেন নেতৃত্বও। দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে নেতাদের। পাশাপাশি, যে নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ, তাঁদের আপাতত দলীয় কর্মসূচি থেকে দূরে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সব রাজনৈতিক দলের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ উত্তর ২৪ পরগণা জেলা৷ কারণ, এই জেলায় লোকসভা এবং বিধানসভা আসন সংখ্যা বেশি। তাই এই জেলায় এগিয়ে থাকলে রাজ্যের সামগ্রিক পটচিত্রেও অনেকখানি এগিয়ে থাকা যায়। একটা সময় এই জেলায় ভাল ফল করত বামেরা। তারপর ২০০৯ সালের পর থেকে ঘুরে যায় রাজনীতির হাওয়া। গত কয়েকটি নির্বাচনের ফল বলছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলাজুড়ে এখন তৃণমূলেরই প্রভাব বেশি।