৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ভারত জোড়ো যাত্রার বিরতি। রাহুল গান্ধী আজ সকালে দিল্লিতে মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী ও অটল বিহারী বাজপেয়ীর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান।
রাহুল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলের সমাধিকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের ঠিক পরেই বিজেপি অভিযোগ তুলেছে, কংগ্রেস তাঁদের প্রয়াত নেতাকে অসম্মান করেছে। একদিকে, প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি অটল বিহারী বাজপেয়ীর সমাধিতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছেন, অন্যদিকে, কংগ্রেস তাঁর সম্পর্কে বিকৃত ইতিহাস প্রচার করছে। পাল্টা জবাব দিয়েছে কংগ্রেসও।
রবিবার ছিল অটলের জন্মদিন। গতকালই নবীন কংগ্রেস নেতা তথা এআইসিসি’র কো-অর্ডিনেটর গৌরব পান্ধী টুইটে মন্তব্য করেন, ‘১৯৪২-এ অনেক আরএসএস নেতার পাশাপাশি বাজপেয়িও ভারত ছাড়ো আন্দোলন বয়কট করে ব্রিটিশ গোয়েন্দাদের চরের কাজ করেন। আন্দোলন সমর্থনকারীদের সম্পর্কে ব্রিটিশদের খবরাখরব দিতেন। অসমে নেলি গণহত্যা এবং বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনাতেও হাত ছিল অটলের।’
তবে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা বাজপেয়ীকে হাতিয়ার করে নরেন্দ্র মোদীকে তীব্র আক্রমণ করেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। সদ্য সমাপ্ত সংসদ অধিবেশনে সরকার চিন নিয়ে আলোচনায় সম্মতি দেয়নি। গত দু’বছর যাবত সরকার চিন প্রসঙ্গে বিস্তারিত আলোচনায় সায় দেয়নি। খাড়্গে এই প্রসঙ্গে প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ১৯৬২-তে চিন-ভারত যুদ্ধের সময় অটল বিহারী বাজপেয়ী তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকে চিঠি লিখে দাবি জানান, সংসদে এই প্রসঙ্গে আলোচনার জন্য অধিবেশন এগিয়ে আনা হোক। নেহেরুজি একবাক্যে অটলজির প্রস্তাবে সায় দেন। অথচ বাজপেয়ীর উত্তরসূরিরা আজ সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করছেন। সংসদে মুখ খুলতে দেওয়া হচ্ছে না।