এবার বালিকাকে আগুনের কবল থেকে বাঁচাতে গিয়ে জখম কসবা থানার সাব ইনস্পেক্টর এবং এক সিভিক ভলান্টিয়ার। জখম অবস্থায় আপাতত ছুটিতে রয়েছেন দু’জনে। তবে সুস্থ রয়েছে বালিকা।
রবিবার রাতে তখন বড়দিনের আনন্দে গা ভাসিয়েছেন প্রায় গোটা শহরবাসী। পার্ক স্ট্রিট থেকে বো বারাক সর্বত্র উৎসপ্রেমীদের ভিড়। কসবার অমরাবতী এলাকার গির্জাও তার ব্যতিক্রম নয়। আলো, মোমবাতিতে সাজানো গির্জায় ভিড় জমায় আট থেকে আশি। এরই মধ্যে প্রার্থনা চলাকালীন ঘটে যায় বিপত্তি। ল জ্বলন্ত মোমবাতির সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলতে গিয়েছিল বছর দশেকের বালিকা। সে বুঝতে পারেনি সেলফি তুলতে গিয়ে পোশাকে আগুন ধরে গিয়েছে। কিছুক্ষণ পর টের পায় ওই বালিকা এবং গির্জায় থাকা প্রায় সকলেই। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল বালিকার পরিবারের লোকজনও।
শুরু হয় চিৎকার চেঁচামেচি। ঘটনার আকস্মিকতায় হতচকিত হয়ে যান সকলেই। নড়াচড়ার ক্ষমতাও যেন হারিয়ে ফেলেন প্রত্যেকে। আর এদিকে আর্ত চিৎকার শুরু করে বালিকা। এ খবর কানে যায় গির্জার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কসবা থানার সাব ইনস্পেক্টর বিমল প্রামাণিক এবং সিভিক ভলান্টিয়ার পুলিন দাসের। তড়িঘড়ি দৌড়ে যান তাঁরা। জল হাতের কাছে পাননি দু’জনে। কম্বল জোগাড় করে আগুন নেভান। বালিকাকে আগুনের গ্রাস থেকে বাঁচাতে গিয়ে জখম হয়েছেন তাঁরা। হাত এবং পা পুড়ে গিয়েছে তাঁদের। দু’জনকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের। তবে আপাতত কাজে যোগ না দেওয়ারই পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।