চলতি মাসে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হেফাজতে রহস্যমৃত্যু হয়েছিল বগটুই-কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের। এ নিয়ে প্রবল উত্তাপ ছড়িয়েছে বাংলার রাজ্য-রাজনীতিতে। লালনের মৃত্যুর তদন্ত নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন তাঁর স্ত্রী রেশমা বিবি। আর সিআইডির তদন্ত নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত সিআইডি’র ডিআইজিকে ঘটনাটির তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। কেন এখনও লালন শেখের স্ত্রীর বয়ান নেওয়া হয়নি? এমনই প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। এবার এই ঘটনায় রামপুরহাট পৌঁছালেন ডিআইজি সিআইডি। সোমবার রামপুরহাটে পৌঁছন ডিআইজি-সিআইডি সোমা দাস মিত্র। কথা বলেন লালন শেখের স্ত্রী এবং ইনভেস্টিগেশন অফিসারের সঙ্গে। এর আগে লালন শেখের বাড়িতে গিয়েছিলেন সিআইডির চার সদস্যের ফরেনসিক টিম। তারপরই ডিআইজি-সিআইডির এখানে আসা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, যেদিন লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় সেদিন লালন শেখকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তার গ্রামে। বগটুই গ্রামে লালনের শ্বশুরবাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এমনকী গ্রামের অন্যান্য বাসিন্দাদের বাড়িতেও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। সেদিন লালন তার স্ত্রী রেশমা বিবিকে কি জানিয়েছিল, তার শারীরিক পরিস্থিতি কেমন ছিল, এই সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য রেশমা বিবির কাছে জানতেই তাকে পুলিশ গেস্ট হাউজ কৌশিকীতে ডেকে পাঠান ডিআইজি-সিআইডি। অন্যদিকে সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর স্বামীকে খুন করা হয়েছে। রবিবার লালন শেখের বগটুইয়ের বাড়িতে হাজির হয়েছিল সিআইডির চার সদস্যের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞের দল। গত ২১শে মার্চের ঘটনার পর সিবিআই তদন্ত করতে এসে লালন শেখের এই বাড়ি সিল করে দিয়েছিল সিবিআই। লালন শেখের মৃত্যুর পরদিন আদালতের নির্দেশে সিল খুলে দেয় সিবিআই। লালনের স্ত্রীর অভিযোগ, সিল খুলে বাড়িতে ঢুকে দেখেন সব ভাঙচুর হয়েছে এবং চুরি হয়েছে। সিবিআই হেফাজতে থাকার সময় কেন বাড়িতে চুরি ও ভাঙচুর হল, প্রশ্ন তোলেন লালনের স্ত্রী রেশমা বিবি। বিচার চেয়ে রামপুরহাট আদালতে মামলা দায়ের করেন তিনি।