বিরোধী দলনেতার নিজের বিধানসভা কেন্দ্র। সেই নন্দীগ্রামের মধ্যেও শুভেন্দু অধিকারীর একেবারে খাসতালুক যদি কিছু থেকে থাকে সেটা ছিল ভেটুরিয়া। তৃণমূলের অভিযোগ, তাদের রুখতে বহিরাগত গুন্ডা ভাড়া করেছিলেন শুভেন্দু। মারধর করা হয়েছিল তৃণমূল কর্মীদের। এমনকী গড় বাঁচাতে বাম এবং কংগ্রেসের সঙ্গে অঘোষিত জোটও গড়েছিল শুভেন্দু শিবির। এত কিছু করেও রোখা যায়নি তৃণমূল কংগ্রেসকে। ভেটুরিয়ার সেই সমবায় সমিতিতে বিরোধী দলনেতাকে ভোকাট্টা করে ১২-০ ব্যবধানে জয় গোটা নন্দীগ্রামে শাসক শিবিরকে একেবারে টগবগে করে দিয়েছে। এলাকায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড আরও বাড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল।
শুক্রবার ভেটুরিয়া সমবায় সমিতির নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। সেই ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে তৃণমূলের উচ্ছ্বাসের একাধিক কারণ রয়েছে। এই সমবায় সমিতির ১২টি আসনেই বড় ব্যবধানে জিতেছে তৃণমূল। ভেটুরিয়া পূর্বপল্লিতে যেমন তৃণমূলের প্যানেলের দুই প্রার্থী প্রবোধ ভুঁইয়া এবং তপন দাস ২৭৬ এবং ২৭১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। সেখানে শুভেন্দুর প্যানালের দুই প্রার্থীই পেয়েছেন ২৬৩টি করে ভোট। ভেটুরিয়ার উত্তর পল্লিতেও তৃণমূল প্রার্থী ব্রজগোপাল গিরি ২৭১ ভোট পেয়ে হারিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দুর প্যানেলের প্রার্থীকে। ভেটুরিয়া উত্তরের মহিলা সংরক্ষিত আসনটিও দখল করেছে তৃণমূলই। এখানে জিতেছেন শাসক দলের প্রার্থী বিজলি ভুঁইয়া।
ভেটুরিয়া মধ্যমপল্লির দুটি আসনেও তৃণমূল অনায়াসে জিতেছে। এখানে তৃণমূলের বিবেক কুমার সাহু এবং মদন মোহন লাল পেয়েছেন ২৯০ এবং ২৮৬টি করে ভোট। সেকানে শুভেন্দুর প্যানেলের দুই প্রার্থী পেয়েছেন মাত্র ২৫১ এবং ২৪৭ ভোট। ভেটুরিয়া দক্ষিণ পল্লিতেও তৃণমূল প্রার্থী প্রশান্ত ভগবতী ২৭৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এখানেও শুভেন্দু প্যানেলের প্রার্থী মোটে ২৫০টি ভোট পেয়েছেন। ভেটুরিয়া দক্ষিণ পল্লির তফসিলি সংরক্ষিত আসনটিতেও তৃণমূলের প্রভাস চন্দ্র মণ্ডল ২৭৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। ভেটুরিয়া মুসলিম পল্লিতে তৃণমূল প্রার্থী কুতুব উদ্দিন খান জিতেছেন ২৮৯টি ভোট পেয়ে। ভেটুরিয়ার পশ্চিম পল্লিতেও তৃণমূলের দুই প্রার্থী সুধাংশু শেখর গিরি এবং সুনন্দ গিরি বড় ব্যবধানে জিতেছেন।