শনিবার দিল্লির লাল কেল্লা থেকে ভাষণ দেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, ‘আপনারা এই যাত্রায় এতো সমর্থন দিয়েছেন, যাত্রায় এত শক্তি দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই। এই সফরের লক্ষ্য ভারতকে সংযুক্ত করা। যখন আমরা কন্যাকুমারী থেকে এটি শুরু করেছি, তখন আমি ভাবছিলাম যে দেশে বিদ্বেষ নির্মূল করতে হবে। কারণ, আমার মনে ছিল দেশে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। কিন্তু, যখন হাঁটা শুরু করলাম, বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন’।
তিনি বলেন, ‘রাজপথে লাখ লাখ মানুষের সঙ্গে দেখা করেছি। সবাই একে অপরকে ভালোবাসেন। দেশের সাধারণ নাগরিক যে কোনও ধর্ম বা বর্ণের হোক না কেন, তিনি একে অপরকে ভালবাসেন। একে অপরকে সম্মান করে। দেখ আমার সামনে একটা মন্দির আছে, গুরুদ্বার আছে, মসজিদ আছে, আর এটাই ভারত। আমাদের দেশ সবসময় ভালোবাসায় ঐক্যবদ্ধ’।
তিনি বলেন, ‘রাস্তায় হাজার হাজার কৃষকের সঙ্গে দেখা করেছি, করমর্দন করলেই জানতে পারি শ্রমিক না কৃষক। মিডিয়ার লোকেরা আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে আপনার ঠান্ডা লাগছে না, আমি ভাবলাম কেন তাঁরা কৃষক, শ্রমিক এবং দরিদ্র শিশুদের এটা জিজ্ঞাসা করে না’?
রাহুল গান্ধী কিছু সংগঠনের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘এই লোকেরা দেশে ভয় ছড়াচ্ছে। যেখানে শিবজি বলেছেন ভয় পেয়ো না, হিন্দু ধর্ম বলছে ভয় পেয়ো না। অথচ এরা এদেশে আতঙ্ক ছড়ানোর কাজ করে’। তিনি বলেন, ‘এদেশে কেউ যদি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারে, তাহলে সেটা কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা দিতে পারে। কারণ, তাঁরা দেশে লাখ লাখ সংখ্যায়। এই লোকেরা ২৪ ঘণ্টা কাজে নিযুক্ত থাকেন’।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধির অভিযোগ, ‘আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে বিজেপি। আমি একটা কথাও বলিনি। কারণ, সত্যকে আড়াল করা যায় না। এটি ঠিক বেরিয়ে আসে। এটাই সত্য। এজন্য আমরা যাত্রা শুরু করেছি। বিশ্বে আসল প্রতিযোগিতা আমাদের আর চিনের মধ্যে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের সীমান্ত থেকে কেউ ভেতরে আসেনি, যদি কেউ না আসে তাহলে আমরা কেন চিনের সঙ্গে ২১ বার কথা বললাম’।