ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল ইউরোপ। এবার কুর্দিশ সংস্কৃতির পীঠস্থানে গুলি চলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয়ে উঠল প্যারিস। কুর্দিশ আন্দোলনকারীরা প্যারিসের রাস্তায় কার্যত তাণ্ডব চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভাঙা হচ্ছে গাড়ি। জ্বলছে বাড়ি। বিক্ষোভকারীদের সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন স্থানীয় পুলিশ আধিকারিকরা। সবমিলিয়ে দ্বিতীয় দিনও উত্তাল ফ্রান্সের রাজধানী। উল্লেখ্য, প্যারিসে কুর্দিশরা সুরক্ষিত নয়। একাধিকবার তাঁদের উপর আক্রমণ হয়েছে। এই অভিযোগে সরব কুর্দিশ সম্প্রদায়ের সদস্যরা। বন্দুকবাজের হামলায় মৃত ৩ কুর্দিশের উদ্দেশে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে শনিবার এক মৌন মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। আচমকাই সেই মিছিল থেকে অশান্তি ছড়ায়। অভিযোগ, রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি উলটে দেওয়া হয়। ভেঙে দেওয়া হয় গাড়ির কাঁচ। বাড়ি, গাড়ি, দোকানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ফ্রান্সের কুর্দিশ ডেমোক্রেটিক কাউন্সিলের বেরিভান ফিরাট জানান, “আমরা আদৌ সুরক্ষিত নই। প্য়ারিসে প্রকাশ্য দিবালোকে গত ১০ বছরে ছয় কুর্দিশ আন্দোলনকারীকে হত্যা করা হয়েছে।”
উল্লেখ্য, বিক্ষোভকারীদের থামাতে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ। লাঠিও চালাতে হয় তাদের। ভিড় ছত্রভঙ্গ হলেও পরে ফের অশান্তি ছড়ায় বলে খবর। বিক্ষোভ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিশকে। ভারতীয় সময় শুক্রবার মধ্য প্যারিসে কুর্দিশ সংস্কৃতির এক পীঠস্থানে আচমকাই গুলি চালাতে শুরু করে অভিযুক্ত প্রৌঢ়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, অন্তত ৭ থেকে ৮ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ওই হামলায়। তাঁদের মধ্যে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিরা গুরুতর আহত হন। এই ঘটনার পর থেকেই উত্তাল প্যারিস। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই হামলাকারী ফ্রান্সেরই নাগরিক। বছরখানেক আগেও সে একটি হামলার ঘটনায় জড়িয়েছিল। সেবার এক অভিবাসী কেন্দ্রে গুলি চালিয়েছিল সেই অভিযুক্ত। ফ্রান্সে আশ্রিত ভিনদেশীদের বিরুদ্ধে বরাবরই বিরূপ মন্তব্য করত সে, সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে এমনটাই।