বাড়ল উদ্বেগ। আমজনতার মাথাব্যথা বাড়িয়ে দেশে ফের ঊর্ধ্বগামী করোনা সংক্রমণ। রবিবার সকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২২৬ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছে। ফলে সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে সারা দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে তিন হাজার ৩২৪ জন। শেষ চব্বিশ ঘণ্টায় বেড়েছে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যাও। এই পরিস্থিতিতে বড়দিন, বর্ষশেষের উৎসবের মরশুমে কোভিড বিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। মাস্ক পরা, দূরত্ব বিধি মেনে চলতে বলেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকও। দেশের দুই মহানগরী দিল্লি এবং মুম্বইয়ের নর্দমায় কোভিড -১৯ ভাইরাসের RNA পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য। রবিবার সকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রক প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে শেষ ২৪ ঘণ্টায় আগের থেকে বেড়েছে কোভিড। মোট ২২৬ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। অ্যাক্টিভ কেস ২৭ টি বেড়েছে। এর মধ্যে ১০টি সংক্রমণই রিপোর্ট হয়েছে পঞ্জাব থেকে। কর্নাটক এবং কেরালায় হাজার জনের বেশি করোনা আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে। শেষ ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে করোনায় মৃতের সংখ্যাও। মহারাষ্ট্রে আরও এক করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে রিপোর্টে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, চীন-সহ একাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রনের নতুন সাব ভ্যারিয়্যান্ট বিএফ.৭। চীনে প্রতিদিন কয়েক লক্ষ মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন বলে খবর। এই পরিস্থিতিতে চীন-সহ চার দেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের আরটি-পিসিআর পরীক্ষা বাধ্যতামূক করেছে কেন্দ্র। ডিসেম্বর মাসের প্রথম কুড়ি দিনেই চিনে ২৫ কোটি লোক করোনা সংক্রমিত হয়েছেন বলে খবর। রিপোর্ট বলছে চিনের প্রায় ১৮ শতাংশ জনসংখ্যাই কোভিডে সংক্রমিত। আগের থেকে কয়েক গুণ বেশি ছোঁয়াচে এই ভাইরাসকে রুখতে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা যাত্রীদের ব়্যান্ডম টেস্ট করা হচ্ছে। করোনা মোকাবিলায় একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় টেস্ট-ট্র্যাক-ট্রিট-ভ্যাকসিন নীতির উপরে জোর দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এই বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে রাজ্যগুলিকে। একই সঙ্গে করোনা সংক্রমণ সামলাতে চিকিৎসা পরিকাঠামোও তৈরি রাখতে বলা হয়েছে। ২৭শে ডিসেম্বর হাসপাতালগুলিতে মক ড্রিলের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।