দানের রাজনীতি নিয়ে কদিন আগেই শুভেন্দু অধিকারীর সমালোচনা করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। দিনটা ছিল ১৫ ডিসেম্বর সকাল। তার আগেরদিন সন্ধেতেই আসানসোলে বিজেপির কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি নিজের হাতে এক বৃদ্ধার গায়ে কম্বল চাপিয়ে দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। যদিও তারপরই অনুষ্ঠানস্থল থেকে চলে যান। আর এরপরই ঘটে ওই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। পরেরদিন সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, অনুষ্ঠানের আয়োজকদের আরও সজাগ থাকা উচিৎ ছিল।
এরপরই ঘুরিয়ে শুভেন্দুর সমালোচনা করে বলেছিলেন, দানের রাজনীতি বাংলাকে শেষ করে দিচ্ছে। এরফলে মানুষকে ভিখিরি বানিয়ে রাখছে সব দলের নেতারা। তিনি এই রীতি পরিবর্তনের পক্ষে সওয়াল করেন। সেই দিলীপকেই বড়দিনের সকালে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে দেখা গেল! পার্থক্য বলতে শুধু এটুকুই যে, তিনি নিজের হাতে কাউকে কম্বল তুলে দেননি।
২৫ ডিসেম্বর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত অটলবিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিন। এই দিনটিকে বিজেপি সুশাসন দিবস হিসেবে পালন করে। দুর্গাপুরে দলের সুশাসন দিবসের কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসেছিলেন দিলীপ ঘোষ। ছিলেন দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘড়ুই। সেখানেই বিজেপির পক্ষ থেকে বেশ কিছু দরিদ্র মানুষের হাতে কম্বল তুলে দেওয়া হয়।
তবে দুর্গাপুরের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ নিজেই আসানসোলে পদপিষ্ট হয়ে তিনজনের মৃত্যুর প্রসঙ্গ টেনে আনেন। এদিন অবশ্য দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি অনুষ্ঠানের আয়োজকদের পাশে দাঁড়ান। আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও তাঁর স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারিকে পুলিশ দিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন।