জাতীয় রাজনীতির আঙিনায় তো বটেই, কাশ্মীরের রাজনীতিতেও ক্রমশ কোণঠাসা হচ্ছেন ‘আজাদ সাহাব।’ একে একে তাঁর সঙ্গ ছাড়ছেন অনুগামীরাও। স্রেফ গত এক সপ্তাহে আজাদের নতুন দল ছেড়ে কংগ্রেসে ফেরার প্রস্তুতি শুরু করেছেন শতাধিক নেতা। তাঁরা প্রত্যেকেই বলছেন আজাদের সঙ্গে দল ছাড়াটা তাঁদের মারাত্মক ভুল ছিল।
আগস্টে কংগ্রেস নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক চিঠি লিখে দল ছাড়েন গুলাম নবি আজাদ। তারপর কাশ্মীরে নিজের আলাদা রাজনৈতিক দল গড়েন তিনি। নাম দিয়েছিলেন ডেমোক্র্যাটিক আজাদ পার্টি। জম্মু এবং কাশ্মীরের বেশ কিছু কংগ্রেস নেতা যোগ দিয়েছিলেন আজাদের সঙ্গে। নিজে কাশ্মীর ঘুরে ঘুরে জনসমর্থন জোগাড় করার চেষ্টাও করেছিলেন। কিন্তু তাতে বিশেষ সাফল্য আসেনি। আজাদ এখন নিঃসঙ্গ। দলের অন্দরে তাঁর বিরুদ্ধে বাড়ছে বিদ্রোহীর সংখ্যা। একে একে দল ছাড়ছেন অনুগামীরাও।
আসলে আজাদের দলে ঝামেলার সূত্রপাত ডেমোক্র্যাটিক আজাদ পার্টির রাজ্য সভাপতি নিয়োগ নিয়ে। আজাদের মনোনীত রাজ্য সভাপতিকে মানতে না পেরে দলের অন্দরে বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন কাশ্মীরের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা তারা চাঁদ, প্রাক্তন মন্ত্রী মনোহরলাল শর্মা এবং প্রাক্তন বিধায়ক মনোহর লাল শর্মা। অভিযোগ ফের কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন তাঁরা। এরা তিনজনই ছিলেন আজাদের দলের সবচেয়ে বড় স্তম্ভ। আজাদ এদের তিনজনকেই দল থেকে বরখাস্ত করেন। তাতেই তাঁর দলে বিক্ষোভ চরম আকার নেয়। একে একে দল ছাড়েন শতাধিক পদাধিকারী। এই মুহূর্তে কাশ্মীরের অনেক জেলাতেই আজাদের দলের জেলা সভাপতি পর্যন্ত নেই।