দিল্লী পুরনিগমে ১৫ বছরের বিজেপির কর্তৃত্ব শেষ করার পর এখন আগামী ৬ জানুয়ারির দিকে তাকিয়ে আপের কর্মী-সমর্থকেরা। ওই দিন মেয়র পদের জন্য ভোট দেবেন ২৫০ জন নির্বাচিত কাউন্সিলর-সহ দিল্লীর ৭টি লোকসভা এবং ৩টি রাজ্যসভার সদস্য। থাকবেন দিল্লী বিধানসভার মনোনীত ১৪ জন বিধায়কও। ইতিমধ্যেই তাঁদের প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল। শুক্রবার দিল্লীর মেয়র পদে শেলি ওবেরয়ের নাম ঘোষণা করেছে তারা। প্রথম বারের কাউন্সিলর শেলিই কি দিল্লীর প্রথম মহিলা মেয়র হিসাবে নির্বাচিত হবেন? সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।
প্রসঙ্গত, প্রথম বার কাউন্সিলর হওয়ার পথে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা শেলির লড়াই সহজ ছিল না। তা-ও আবার বিজেপির ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত দিল্লীর ইস্ট পটেল নগর এলাকার ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডে। তবে ওই ওয়ার্ডে বিজেপির দীপালি কপূরকে হারিয়ে অনেককেই চমকে দিয়েছেন তিনি। দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯ বছরের এই অধ্যাপকের ডেপুটি হিসাবে আপের পছন্দ পোড়খাওয়া রাজনীতিক তথা ছ’বারের বিধায়ক শোয়ের ইকবালের ছেলে আলে মহম্মদ ইকবাল। শুক্রবার শেলির পাশাপাশি তাঁর নামও ঘোষণা করেছেন আপ নেতৃত্ব।
প্রসঙ্গত, ডিসেম্বরের গোড়ায় পুরনিগমের ফল প্রকাশিত হতে দেখা গিয়েছে, ১৭ হাজারেও বেশি ভোটে সবচেয়ে বড় জয় পেয়েছেন আলে। শেলিকে মেয়র পদে মনোনীত করার পর শুক্রবার টুইট করেছেন খোদ দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো কেজরিওয়াল। তাতে তিনি লিখেছেন, ‘মেয়র এবং ডেপুটি মেয়র পদে আপ প্রার্থী যথাক্রমে শেলি ওবেরয় এবং আলে মহম্মদ খানকে শুভেচ্ছা জানাই।’ কেজরীর আশা, দিল্লীকে দূষণমুক্ত করার পথে মেয়র হিসাবে সদর্থক ভূমিকা নেবেন শেলি, আলে–সহ পুরনিগমের অন্যান্য আপ নেতা-নেত্রী।
কেজরীর এই আস্থার প্রত্যুত্তরে শুক্রবার টুইট করেছেন শেলিও। তিনি লিখেছেন, ‘দিল্লীর মেয়র হিসাবে আমাকে মনোনীত করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালজিকে ধন্যবাদ।’ সেই সঙ্গে উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়াকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। দিল্লীর মেয়র পদের দৌড়ে নেমেই নিজের লক্ষ্য স্থির করে নিয়েছেন শেলি। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেছেন, ‘দিল্লীকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ঝকঝকে করাই আমার লক্ষ্য। দিল্লীকে স্মার্ট সিটি করব আমরা।’