নতুন বছরেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর তার পরের বছর অর্থাৎ চব্বিশে লোকসভা ভোট। সেদিকে তাকিয়েই তৃণমূল কর্মী ফেডারেশনের সদস্যদের মাঠে নামার নির্দেশ দিলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইঞা। ফেডারেশনের কর্তাদের তিনি বলেছেন, মাঠ পর্যায়ে কাজ করে এমন দফতরগুলিতে একেবারে বিডিও অফিস স্তরে ইউনিট গড়ে তুলতে হবে। তিনি আরও বলেছেন, বিডিও অফিস ছাড়াও কৃষি, কৃষি বিপণন, সেচ, পূর্ত, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন এবং প্রাণি সম্পদ বিকাশের মতো দফতরগুলিতে যত দ্রুত সম্ভব ফেডারেশনের ইউনিট গড়ে তুলতে হবে।
সবংয়ের দীর্ঘদিনের বিধায়ক তথা রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন এবং পরিবেশ দফতরের মন্ত্রী মানসবাবু বরাবর তৃণমূল স্তরে জনসংযোগকেই রাজনীতির মূল মন্ত্র মেনে এসেছেন। মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে কর্মী ফেডারেশের কাজকর্ম পর্যালোচনার দায়িত্ব দেওয়ার পর মানসবাবু তাঁর রাজনৈতিক দর্শনকেই সংগঠনের পাথেয় করেছেন। সম্প্রতি ফেডারেশনের কর্তাদের তিনি বলেছেন, তাঁদের শুধু বরাদ্দ কাজটুকু করে অফিস ছাড়লে চলবে না। মানুষ পরিষেবা পাচ্ছে কি না সংগঠনের তরফে সেদিকে নজর রাখতে হবে। কোথাও খামতি নজরে এলে সংগঠনকে জানিয়ে সে ব্যাপারে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে।
ফেডারেশন সূত্রে জানা গিয়েছে, সংগঠনের বৈঠকে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জনসংযোগ বৃদ্ধির বিষয়ে জোর দেওয়া হয়। সেখানে ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের ফলাফলের প্রসঙ্গ ওঠে। লোকসভার ভোটের ফলাফলে দেখা যায় বেশ কিছু আসনে তৃণমূল পোস্টাল ব্যালটের ভোট কম পেয়েছে, যা আসলে সরকারি কর্মচারীদের রায়। যদিও ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের ফল ছিল উল্টো। কিন্তু ২০১৯-এর ফলের পুনরাবৃত্তি যাতে ভবিষ্যতে না হয় সে জন্য কর্মচারীদের মধ্যে সংগঠনের সংযোগ বৃদ্ধির বিষয়েও কথা হয়েছে বৈঠকে। মানসবাবু ফেডারেশনের নেতাদের বলেছেন, কর্মচারীদের মধ্যে আরও যোগাযোগ বাড়াতে হবে।