শনিবার সকালে দিল্লি পৌঁছে গিয়েছে ভারত জোড়ো যাত্রা। করোনা সংক্রমণের কথা বলে কেন্দ্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য যাত্রা বন্ধ রাখতে রাহুল গান্ধীকে পরামর্শ দিলেও কংগ্রেস তাতে কর্ণপাত করেনি। বরং দিল্লিতে যাত্রায় অনেক বেশি মানুষ অংশ নিয়েছেন আজ। সেই মতো দিল্লি রাহুলদের যাত্রাপথে সকাল থেকে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।
আজ সকালে রাহুলের সঙ্গে পা মিলিয়েছেন সোনিয়া ও প্রিয়ঙ্কা। সোনিয়া এর আগে কর্নাটক ও রাজস্থানে এই যাত্রায় পা মেলান। রাজস্থানে রাহুলের পাশে ছিলে বোন প্রিয়ঙ্কাও। বহুজন সমাজবাদী পার্টির এক সাংসদও আজ যাত্রায় যোগ দিয়েছেন। রাহুল সংসদের সব দলকেই যাত্রায় অংশ নিতে আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে এখনও পর্যন্ত বিএসপির ওই সাংসদ বাদে ভিন দলের কাউকেই পাশে পাননি কংগ্রেস নেতা।
আজ সকাল ৬’টায় হরিয়ানা থেকে বদরপুর হয়ে দিল্লিতে আসার পর রাহুল বলেন, এই যাত্রার উদ্দেশ্য হল ‘প্রকৃত হিন্দুস্তান’-কে তুলে ধরা, যেখানে লোকেরা আরএসএস এবং বিজেপির ঘৃণার সংস্কৃতির বিপরীতে একে অপরকে সাহায্য করে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই যাত্রায় ঘৃণার কোনও স্থান নেই। সেটাই আসল হিন্দুস্থান যেখানে প্রতিবেশী প্রতিবেশীর দিকে হাত বাড়িয়ে দেয়। কেউ পড়ে গেলে তাঁকে উঠে দাঁড়াতে সাহায্য করে।’ রাহুল বলেন, ‘এটাই আসল হিন্দুস্তান। বিজেপি এবং আরএসএসের ঘৃণা-ভরা হিন্দুস্তান নয়।’
আজ দিল্লিতেও যাত্রা ২৩ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করবে। যাত্রা নিজামুদ্দিন, ইন্ডিয়া গেট, আইটিও, দিল্লি গেট এবং দরিয়াগঞ্জ হয়ে লালকেল্লায় গিয়ে শেষ হবে। তারপর লম্বা বিরতি। যাত্রা ফের শুরু হবে ৩ জানুয়ারি। পরবর্তী ধাপে অভিনেতা-রাজনীতিবিদ কমল হাসান, স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিবারের সদস্য এবং কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা যাত্রায় যোগ দেবেন বলে ঠিক আছে।