এর আগে একাধিক বার সিপিএম-বিজেপি আঁতাতের প্রমাণ মিলেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার অভিযোগ তুলেছেন, রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে পরাস্ত করতে হাত মিলিয়েছে বাম-রাম। এমনকী সম্প্রতি সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠকে এই বিষয়ে রিপোর্টও জমা পড়েছে। সিপিএম সূত্রে খবর, কিছু জেলার নেতৃত্ব আলিমুদ্দিনে নিচু তলায় রাম-বাম জোটের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে বলে রিপোর্ট পাঠিয়েছে। ওই রিপোর্ট যে কতটা সত্যি তার প্রমাণ মিলল, হুগলির দাদপুর থানা এলাকার পাঁজিপুকুরের হারিচ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। সেখানে মিছিলে স্লোগান উঠল, নরেন্দ্র মোদী জিন্দাবাদ। আর সঙ্গে সিপিএমের লাল ঝান্ডা! হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা শম্ভু মিদ্যা দু’কাধে সিপিএমের লাল ঝান্ডা এবং বিজেপির গেরুয়া পতাকা নিয়ে হাজির। তাঁর দাবি, তিনি আগে সিপিএম করতেন। দলের নেতাদের এখন দেখা মেলে না। তাই হকের দাবি আদায়ে বাধ্য হয়ে বিজেপি করছেন। সিপিএমের পতাকা নিয়ে এলেন কেন? শম্ভুর জবাব, ‘সিপিএম করি বলে সিপিএমের পতাকা নিয়ে এসেছি।’
বিজেপি নেতাদের দাবি, গরিব মানুষকে ঘর দিতে প্রকল্প এনেছেন মোদী। আর সেই টাকা ‘খেয়ে’ দোতলা বাড়ির উপর তিন তলা বাড়ি বানাচ্ছেন তৃণমূল নেতারা। তাঁদের আন্দোলন যে সাধারণ মানুষকে ছুঁয়েছে তারই প্রমাণ সিপিএমের পতাকা হাতে লোকজনের উপস্থিতি। এমনই দাবি করছেন আন্দোলনরত বিজেপি নেতা অর্ঘ্য চক্রবর্তী। তাঁর দাবি, সিপিএমের স্থানীয় কর্মীরা দিশাহীনতায় ভুগছেন। তাঁদের নেতাদের দেখা পাওয়া যায় না। তাই ন্যায্য দাবি আদায়ে তাঁরা বিজেপির ছাতার তলায় এসেছেন। যদিও সিপিএম নেতারা হাত ধরাধরির কথা মানতে চান না। সিপিএমের হুগলি জেলার সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ বলেন, ‘সিপিএমের কোনও কর্মী ছিলেন না। ওটা বিজেপির কর্মসূচি ছিল। সেখানেই রাস্তার পাশে আমাদের কিছু পতাকা লাগানো ছিল। সেই ঝান্ডাগুলো নিজেরাই তুলে এনে সিপিএম যোগ দিয়েছে বলে দাবি করেছে বিজেপি। আমাদের কি মাথাখারাপ! ওখানে আমাদের গণ সংগঠনের লোকও ছিলেন না। কোথাকার কে বিজেপি রাস্তা থেকে আমাদের পতাকা তুলে নাটক করছে।’
![ফের প্রমাণ মিলল রাম-বাম আঁতাতের - এবার সিপিএমের মিছিলে উঠল 'নরেন্দ্র মোদী জিন্দাবাদ' স্লোগান!](https://ekhonkhobor.com/wp-content/uploads/2022/12/WhatsApp-Image-2022-12-24-at-3.11.27-PM-4.jpeg)