আগেই বিতর্কের মুখে পড়েছিল মোদী সরকার। নির্ধারিত সময়ের ৬ দিন আগেই শীতকালীন অধিবেশনের সমাপ্তি নিয়ে সরব হয়েছিল বিরোধীরা। আজ, ২৩শে ডিসেম্বর, শুক্রবার শেষ হল শীতকালীন অধিবেশন। শেষ দিনেও ভারত চীন সীমান্ত ইস্যু নিয়ে আলোচনার দাবিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল সংসদ। দফায়-দফায় সংসদের দুই কক্ষ-ই মুলতুবি হয়ে যায়। আর এই অধিবেশনে ৯৭ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। তিনি এও জানান, এবারের অধিবেশনে ৯৭ শতাংশ কাজ হয়েছে। যার মধ্যে ৭টি বিলের ১৩টি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, সামুদ্রিক জলদস্যুতা-বিরোধী বিলটি। সামুদ্রিক জলদস্যুর মোকাবিলার জন্য অতিরিক্ত অনুদানেরও দাবি উঠেছে। শীতকালীন অধিবেশন শুরু হয়েছিল গত ৭ই ডিসেম্বর। আগামী ২৯শে ডিসেম্বর পর্যন্ত এই অধিবেশন চলার কথা ছিল। কিন্তু তার প্রায় সপ্তাহ খানেক আগেই, আগামী ২৩শে ডিসেম্বর শীতকালীন অধিবেশন শেষ হয়ে গেল। বড়দিন ও নববর্ষের উৎসবের জন্য শীতকালীন অধিবেশন নির্দিষ্ট সময়ের আগে শেষ করে দিল সরকার।
পাশাপাশি জানা যাচ্ছে, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও গোয়ার বহু সাংসদ আসন্ন ক্রিসমাস এবং নববর্ষ উপলক্ষ্যে শীতকালীন অধিবেশন তাড়াতাড়ি শেষ করার জন্য লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। তাঁদের সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই ক্রিসমাসের প্রাক্কালে বড়দিনের প্রাক্কালে এদিন শীতকালীন অধিবেশন শেষ করা হল। এবারে অধিবেশনের শুরুতেই সংসদীয় কাজকর্ম সুষ্ঠুভাবে চালানোর জন্য বিরোধীদের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু প্রথম দিন থেকেই মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব এবং তাওয়াং ইস্যুতে বারবার উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদের দুই কক্ষ। অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সীমান্তে চিনা অনুপ্রবেশ নিয়ে কংগ্রেস, তৃণমূল সহ বিরোধীদের প্রশ্নবাণে জর্জরিত হয়ে ওঠে সংসদ। যা নিয়ে অস্বস্তিতে পড়ে শাসক শিবির। বিরোধীরা বারবার আলোচনার দাবি জানালেও সরকার পক্ষ আলোচনা না করলে মাঝপথেই মুলতবি হয়ে যায় সংসদ। এদিন, শীতকালীন অধিবেশনের শেষদিনেও সেই একই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটল।
